কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় করোনা ভাইরাসের জাল সনদ’ বিক্রির অভিযোগে আটক হয়েছে এক।
বুধবার সন্ধ্যায় জাল সণদ বিক্রির অভিযোগে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলিস্ট মাহফুজুর রহমানকে তার কর্মস্থল থেকে আটক করা হয়েছে।
এই ঘটনায় মাহফুজুর রহামানের বিরুদ্ধে চিকিৎসা সনদ জালিয়াতির অভিযোগে মিরপুর থানায় মামলা করেছেন কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন আনোয়ারুল ইসলাম। মাহফুজুর রহমান উপজেলার চুনিয়াপাড়ার মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, পাবনার রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে চাকরির জন্য করোনা ভাইরাস নেগেটিভ সনদ দিতে হচ্ছে। এই সুযোগকে কাজ লাগিয়ে ৭শ- ১৫শ টাকায় কয়েকদিন ধরে ভুয়া করোনা ভাইরাস নেগেটিভ সনদ দিয়ে আসছিলেন মাহফুজুর রহমান। তার সঙ্গে আরও কয়েকজন জড়িত আছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
কুষ্টিয়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা না নিয়েই নেগেটিভ সনদ দেওয়ার অভিযোগ পেয়ে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অভিযান চালাই। এ সময় মাহফুজুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে তাকে আটক করা হয়।
সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, করোনা ভাইরাস সনদ জালিয়াতির অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় তিনি নিজে বাদী হয়ে মিরপুর থানায় একটি মামলা করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে করোনা ভাইরাস নেগেটিভ হওয়ার জাল সনদ দেওয়ার অভিযোগ ছিল মাহফুজুর রহমানের বিরুদ্ধে। তদন্ত শেষে অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাসহ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
মিরপুর থানার ওসি আবুল কালাম জানান, কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জনের দেওয়া অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। এ মামলার আসামি মাহফুজুর রহমানকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তার দখলে থাকা একটি কম্পিউটারের হার্ডডিক্স, একটি পেনড্রাইভ, একটি সিল ও করোনা ভাইরাস নেগেটিভের ১৩টি ভুয়া সনদের ফটোকপি জব্দ করা হয় বলেও জানান ওসি।