কুষ্টিয়ায় বাস ধর্মঘট প্রত্যাহার

0
62

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ডাকা বাস ধর্মঘট তুলে নিয়েছেন পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতারা।

শুক্রবার বিকালে জেলা প্রশাসন ও সিএনজি মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে ফলপ্রসূ বৈঠকের পর কর্মসূচি প্রত্যাহারের এ সিদ্ধান্ত জানান তারা।

কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মোছা. শারমিন আখতারের সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশ নেন কুষ্টিয়া জেলা বাস মিনিবাস ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. মাহবুল আলম, কুষ্টিয়া জেলা বাস মিনিবাস মালিক গ্রæপের সাধারণ সম্পাদক আবুল ফজল সেলিম, মিরপুর সিএনজি মালিক সমিতির সভাপতি মহিবুল হক, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সদর আসনের সাবেক এমপি অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার, মিরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুষ্টিয়ার সমন্বয়ক তৌকির আহমেদ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।

আরও পড়ুন – হাছান মাহমুদ স্ত্রী পুত্রসহ পালিয়ে গেছেন বলে গুঞ্জন

কুষ্টিয়া জেলা বাস মিনিবাস ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি এবং ঐক্য পরিষদের নেতা মো. মাহবুল আলম বলেন, আমরা কেউ কারো শত্রæ না। কিন্তু দেখা যায়, যেখান থেকে বাসের যাত্রী তোলার কথা, সেখানেই ভিড় জমান সিএনজি চালকরা। এতে যানজটের সৃষ্টি হয়, দ্ব›দ্ব তৈরি হয় শ্রমিকদের মধ্যে।
বৈঠকে উভয়পক্ষের বক্তব্যে উঠে আসে, মূলত শহরের প্রাণকেন্দ্র মজমপুর গেট ও আশপাশের এলাকায় যাত্রী তোলা নিয়ে দ্ব›দ্ব চলছিল বাস শ্রমিক ও সিএনজি চালকদের মধ্যে। পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সিএনজিগুলো মজমপুর গেট থেকে আধা কিলোমিটার দূরে আলফার মোড়ে অবস্থান করবে। শুধুমাত্র রোগী বহনকারী সিএনজি শহরের ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে। এ সংক্রান্ত সমঝোতা হওয়ার পর উভয়পক্ষ যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করার প্রতিশ্রুতি দেন।

বৈঠক শেষে শারমিন আখতার বলেন, সন্ধ্যা থেকেই যেসব জায়গা থেকে যান চলাচল শুরু করা সম্ভব, তার ব্যবস্থা করবেন মালিকপক্ষ।

শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে কুষ্টিয়ার সব রুটে অনির্দিষ্টকালের বাস ধর্মঘট শুরু করেন জেলার বাস-মিনিবাস ও মাইক্রোবাস মালিক সমিতি ও শ্রমিকরা। এতে তীব্র ভোগান্তিতে পড়েন কুষ্টিয়া থেকে বিভিন্ন জেলার উদ্দেশে রওনা হওয়া যাত্রীরা।

উল্লেখ্য, গত ৩ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর গেটে যাত্রী তোলাকে কেন্দ্র করে সিএনজি চালক ও বাসের শ্রমিকদের মধ্যে বাক বিতান্ডার জের ধরে কয়েকটি সিএনজি ও বাস ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জের ধরে ওই দিন থেকে কুষ্টিয়া-ভেড়ামারা এবং কুষ্টিয়া-মেহেরপুর রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।