কোটচাঁদপুরের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা

0
184
jhanida-Nural-droho-12-11-2020-p-3
উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পিংকি খাতুন

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে তৃতীয় লিঙ্গের লাবনী হত্যার ঘটনায় একজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।

জানা গেছে, কোট চাঁদপুরের এলাকা ভাগাভাগি নিয়ে তৃতীয় লিঙ্গের সম্প্রদায় ভুক্তদের মধ্যে বিরোধ চরমে পৌচ্ছায়। এ বিরোধের জের ধরে গত ৫ মাসে তৃতীয় লিঙ্গের লাবনী ও কারিশমা খুন হয়। যদিও হত্যাকান্ডের বিষয় গুলো তদন্তাধীন রয়েছে।

jhanida-Nural-droho-12-11-2020-p-2
নিহত তৃতীয় লিঙ্গের লাবনী

তৃতীয় লিঙ্গের লাবনী হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পিংকি খাতুনসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের হয়েছে। যার পিটিশন নং ৬৯/২০, স্মারক নং ৬৪৯। মঙ্গলবার কোটচাঁদপুরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে এ পিটিশ দায়ের করেছেন তৃতীয় লিঙ্গের সম্প্রদায় ভুক্ত বর্ষা মীর। বিজ্ঞ বিচারক তানিয়া বিনতে জাহিদ পিটিশন মামলাটি এজাহার হিসেবে গণ্য করার জন্য কোটচাঁদপুর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

বর্ষ মীরের দায়ের করা মামলায় অন্যান্য আসামীরা হলেন, ঝিনাইদহ শহরের কাঞ্চননগর গ্রামের ইসারত আলীর সন্তান আকাশী খাতুন, সদর উপজেলার বয়ড়াতলা গ্রামের আবু বকরের সন্তান প্রিয়ংকা খাতুন, ভুটিয়ারগাতি গ্রামের আব্দুর রহিম শেখের সন্তান আনোয়ারা খাতুন, কোটচাঁদপুরের বলুহর বাসষ্ট্যান্ডের কল্পনা খাতুন ও চুয়াডাঙ্গার দর্শনা এলাকার নাস্তিপুর গ্রামের ফকির মোল্লার সন্তান পায়েল ওরফে জুয়েল।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, লাবনী ওরফে আক্তার পুরুষ ছিল। তার স্ত্রী ও দুইটি সন্তান রয়েছে। মামলার প্রধান আসামী পিংকি খাতুন লোভ দেখিয়ে ৬ বছর আগে অপারেশনের মাধ্যমে আক্তার হোসেনকে হিরা বানায়। সেই থেকে আক্তার হোসেন হয়ে যায় লাবানী। এরই মধ্যে এলাকা ভাগাভাগী নিয়ে লবনী, কারিশমা ও মামলার বাদী বর্ষা মীরের সাথে পিংকি খাতুনের চরম বিরোধ শুরু হয়।

সে লাবনীসহ মামলার বাদীকে হত্যার হুমকি দেয়া। এরপর বাসা পরিবর্তন করে শহরের বলুহর বাসস্ট্যান্ডের ভাড়া বাড়িতে আসে লাবনী। কিন্তু তাতেও রক্ষা পায়নি সে। ৭ জুন একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে লাবনী ওরফে আক্তারকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাকে হাত পায়ের রগ কেটে হত্যা করে লাশ তড়িঘরি করে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার নাস্তিপুর গ্রামে দাফন করা হয়।

মামলার বাদী বর্ষা মীর অভিযোগ করেন, প্রধান আসামী পিংকি খাতুনের সঙ্গে বিরোধের কারণে তাদের তিনজনকে হত্যার ছক কাটা হয়। সেই ছকেই প্রথমে লাবনী ও পরে কারশিমা খুন হয়। তাকেও অপহরণ করা হয়েছিল।

এ বিষয়ে কোটচাঁদপুর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পিংকি খাতুন জানান, আমি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে প্রতিপক্ষ ষড়য়ন্ত্র করে আসছে। তার ধারাবাহিকতায় এই মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। মামলাটির সুষ্ঠ তদন্ত দাবী করে তিনি।

কোটচাঁদপুর থানার ওসি মাহবুব আলম জানান, মামলা দায়ের হবার খবরটি আমি বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে দেখেছি। আদালতের আদেশ পাওয়ার পর মামলাটি রেকর্ড করা হবে।