খালেদার আরও ৪ মামলা স্থগিত থাকছে

0
142
DROHO-20-P-৪
খালেদা জিয়া।

দ্রোহ ডেস্ক

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাশকতা ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগের আরও চার মামলার কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

হাই কোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন নিষ্পত্তি করে বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বাধীন ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চ রবিবার এ আদেশ দেন।

আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোমতাজ উদ্দিন ফকির। খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন। এর আগে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন নিষ্পত্তি করে আপিল বিভাগ গত ১৭ ও ২৩ আগস্ট নাশকতা ও সহিংসতার আট মামলা স্থগিত রেখেছিল।

মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ২০১৪ সালের নাশকতা, সহিংসতার ঘটনায় ২০১৫ সালে দারুসসালাম থানায় তিনটি মামলা করা হয়। পুলিশ যখন এফআইআর দেয় তখন সেখানে খালেদা জিয়ার নাম ছিল না। অভিযোগপত্র দেওয়ার সময় নির্দেশদাতা হিসেবে তার নাম দেয়।
“আদালতে বলেছি, মামলাগুলো সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কারণ ঘটনার সময় বেগম খালেদা জিয়া গুলশানের কার্যালয়ে অন্তরীণ ছিলেন। সেখানে পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, টেলিফোন সংযোগ বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। এ অবস্থায় নির্দেশ দেওয়া কোনোভাবেই সম্ভব না।

“আর রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটিও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কারণ খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে খারাপ কিছু বলেননি। তিনি শহীদদের স্বীকৃতি দাবি করেছিলেন। যাই হোক, কোর্ট চারটি মামলার কার্যক্রমই স্থগিত রেখেছেন। এনিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে ১২টি মামলার কার্যক্রম স্থগিত রেখেছেন আপিল বিভাগ।”

২০১৫ সালে করা নাশকতা ও সহিংসতার অভিযোগে দারুস সালাম থানায় করা তিনটি মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১৭ সালে আবেদন করলে হাই কোর্ট মামলাগুলোর কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করে। হাই কোর্টের ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে’ খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন মর্মে মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগ দেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোমতাজ উদ্দিন মেহেদী।

পরে রাষ্ট্র বাদী হয়ে এ অভিযোগে মামলা করে। মামলার বৈধতা নিয়ে আবেদন করলে ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ হাই কোর্ট স্থগিতাদেশ নিয়ে রুল জারি করে। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন নিষ্পত্তি করে আপিল বিভাগ হাই কোর্টের স্থগিতাদেশই বহাল রেখেছে।