খোকসা ও কুমারখালীতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে প্রতিমা বিসর্জন

0
42

স্টাফ রিপোর্টার

কুষ্টিয়ার খোকসা ও কুমারখালীতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শেষ হয়েছে।

কুমারখালী পৌরসভা এলাকার প্রতিমা গুলোতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে গড়াই নদীতে বিসর্জন দেওয়া হয়। এ ছাড়া জগন্নাথপুর, শিলাইদহ, কয়া, যদুবয়রা, পান্টি, বাগুলাট, চাঁদপুর, নন্দলালপুর, সদকী ও চাপড়া ইউনিয়নের প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। এবছর কুমারখালী উপজেলায় মোট ৫৪ টি মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে গড়াই ইকোপার্কে প্রতি বছরের ন্যায় জমে উঠে গ্রামীণ মেলা।

খোকসা উপজেলা সদরের ৮টি মন্দিরের প্রতিমা বিষর্জন দেওয়া হয় গড়াই নদীতে। কয়েকটি প্রতিমা নৌকায় তুলে গড়াই নদীর ঘাটে ঘাটে আরতি করা হয়। কালীবাড়ি কেন্দ্রীয় পূজামন্দিরের প্যান্ডেলের মধ্যে প্রতিমা রেখে সন্ধ্যা পর্যন্ত আরতি করা হয়। সারা বিকাল এখানে সিঁদুর খেলা চলে। উপজেলায় ৬২টি মন্দিরে দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হয়। বিজয় দশমীতে ৫৯টি মন্দিরের প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। বাঁকি তিনটি মন্দিরের প্রতিমা বিসর্জন হবে আগামী কাল সোমবার বিকালে।

বিজয় দশমী উপলক্ষে খোকসা কালীবাড়ি মাঠ ও খোকসা বাজারের প্রধান সড়কে গ্রামীন মেল বসেছিল। মাটির পুতুল, খই, মুড়ি, বাতাসা ও জিলাপির ব্যবসায়ীরা দোকান সাজিয়ে বসেছিল। ক্রেতার ভিড় ছিলো চোখে পরারমত।

এ দুই উপজেলায় প্রসাশনের কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে প্রতিমা বিসর্জন ও শারদীয় দুর্গোৎসব শেষ হয়েছে।

কুমারখালীতে প্রতিমা বিসর্জনের সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মিকাইল ইসলাম, সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন – ‘শেখ হাসিনাসহ পালাতকদের ফেরাতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়া হবে’

এ ছাড়া কুমারখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য নুরুল ইসলাম আনছার প্রামাণিক, উপজেলা যুবদলের আহ্বাযক এডভোকেট জাকারিয়া আনছার মিলন উপস্থিত থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উৎসব উপভোগ করেন।

পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নব কুমার দত্ত বলেন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শারদীয় দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আয়োজনে প্রসাশন সহ যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান তিনি।