খোকসায় জমির সীমানার পিলার নিয়ে হামলায় আহত ৮

0
97
সন্ত্রাসীরা এই আলমারী থেকে ১৪ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন আব্দুল মজিদের স্ত্রী শিল্পী খাতুন।

এক বাড়িতে লুটের ঘটনার অভিযোগ উঠেছে

স্টাফ রিপোর্টার

কুষ্টিয়ার খোকসায় জমির সীমানা পিলার তুলে ফেলা কেন্দ্র করে দুই পক্ষের হামলা-পাল্টা হামলায় ৬ জন আহত হয়েছে। এক পক্ষ বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটের অভিযোগ করছে।

শনিবার বিকাল ৫টার দিকে উপজেলা সদরের চরপাড়ার শরিকানা সম্পত্তির সীমানা নির্দ্ধারণ নিয়ে এ হামলা পাল্টা-হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে ৪ জনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলা সদরের ব্যবসায়ী আব্দুল মজিদ ও তার চাচাত ভগ্নিপতি আওয়ামী লীগ নেতা সাহেব আলীর মধ্যে জমির সীমানা নির্দ্ধারণ নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। শনিবার সকালে আব্দুল মজিদের ছেলেরা পৌরসভার সার্ভেয়ারের মাধ্যমে বিবাদপূর্ণ জমির সীমানা নির্দ্ধারণ করে। সীমানায় সিমেন্টর কয়েকটি ছোট খুটি পুতে রেখে যায়। বিকালে সাহেব আলীর লোকেরা সীমান পিলার গুলো তুলে ফলায় দুই পক্ষের মধ্যে হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা আব্দুুল মজিদের বাড়িতে হামলা করে ব্যপক লুট-তরাজ ও ভাংচুর করেছে বলে অভিযোগ পপাওওয়াা গেছে।

এ হামলায় আহত সাজ্জাদ হোসেন সাকিব (২৬), জুয়েল (২৪), আমজাদ হোসেন (৫৫), রিপন (৩৫) ও রকি (৩২) কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে আনা হয়। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

ঘটনা স্থলে সরেজমিন গিয়ে পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিল আব্দুল হামিদের সাথে কথা বলা হলে তিনি জানান, পৌরসভার সার্ভেয়ার দিয়ে সকালে জমিটির সীমানা নির্দ্ধারণ করা হয়। এ সময় তিনজন কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন। তখন সাহেব আলীকে বলা হয়েছিল, দুই পক্ষই স্বস্ব বস্থানে থাকবে। কেউ প্রতিপক্ষের দখলি জমিতে আসতে পারবেন না। ঈদের পর পৌরসভায় বসে সমাধান করা হবে। কিন্তু সে কথা না শুনে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে এসে হামলা ও লুট-তরাজের ঘটনা ঘটিয়েছে। অপরাধিদের বিচারের দাবি করেন তিনি।

অসুস্থ্য ব্যবসায়ী আব্দুল মজিদের ছেলে শরিফুল ইসলাম সুমন জানান, বিবাদ পূর্ণ প্রায় ২০ শতাশ জমির সীমানা পিলার তুলে ফেলার প্রতিবাদ করলে প্রতিপক্ষ বহিরাগত সন্ত্রাসীদের ভারা করে এনে হামলা চালিয়েছে। হামলা কারীরা তার বাড়ি থেকে প্রায় ১৪ লাখ নগদ টাকা ও ৭ ভড়ি স্বর্ণের অলংকার লুট করে নিয়ে গেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। এ হামলায় ২০/২৫ জন অংশ নেয়। সন্ত্রাস দের হাতে আগ্নেয় অস্ত্র ছিল বলেও তিনি দাবি করেন। হামলাকারীদের মু গামছা দিয়ে বাঁধা ছিল বলেও তিনি জানান। তিনি এ ঘটনায় মামলা করবেন বলেও জানান।

উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা সাহেব আলীর সাথে মুঠো ফোনে কথা বলা হলে তিনি জানান, তাকে না জানিয়ে জমির সীমানা নির্দ্ধারণ করে খুটি পুতে দেওয়া হয়েছে। তিনি এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে তার উপর হামলা চালানো হয়। তিনি এ বিষয়ে মামলা করবেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ মাহামুদুল হাসান জানান, রোগীদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফর্ড করা হয়েছে। বাঁকীরা ভালো আছেন।

ঘটনা স্থলে উপস্থিত পুলিশের এসআই মোজাম্মেল এর সাথে কথা বলার জন্য তার মুঠো ফোনে কলা করা হয় কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেনি।