খোকসার কর্মহীন জেলেরা মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে

0
116

স্টাফ রিপোর্টার

শুষ্ক মৌসুম শুরুর আগেই গড়াই ও তার অন্যতম শাখা সিরাজপুর হাওড় নদী শুকিয়ে যাওয়ায় নদী তীরের প্রায় সহ¯্রাধিক জেলে বেকার হয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। অনেকে মাছ ধরা পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় যোগ দিয়েছেন।

কুষ্টিয়ার খোকসার গড়াই ও তার অন্যতম শাখা সিরাজপুর হাওড় নদী তীরের কালীবাড়ী পাড়া, কমলাপুর মিয়াপাড়া, হিলালপুর আদিববাসী পল্লী, কমলাপুর জেলে পল্লীর অধিকাংশ জেলেই জীবন-জীবিকার তাগিদে বাপ-দাদার পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় যেতে বাধ্য হয়েছেন। শুষ্ক মৌসূমে গড়াই নদী শুকিয়ে যাওয়ায় জাল নৌকা ছেড়ে তাদের কেউ রাজ মিস্ত্রীর জোগান, কেউ চালানী মাছ কেনা বেঁচা আর কেউ রিকসা ভ্যানের চালক হয়েছেন।

কালীবাড়ী পাড়ার মনমতো হালদার, ক’বছর আগেও নদীতে মাছ ধরেছেন। কিন্তু নদী পানি শুন্য হয়ে পরায় তিনি বাপ-দাদার পেশা ছেড়ে রাজ মিস্ত্রীর জোগান দিচ্ছেন। তিনি এখন মাছ কিনে খান। তার মতই পেশা বদল করেছেন পরেশ হালদার , গোবিন্দ, সোনাতন হালদারসহ একই পল্লীর ৩০ জনের বেশী।

উপজেলার মৎস্য অফিসের সূত্র জানা গেছে, উপজেলায় জেলের সংখ্যা প্রায় ৭৩৫ জন। এর মধ্যে কার্ডধারী (তালিকা ভুক্ত) ৫৩৭ জন। আর কার্ড নেই ১৯৮ জনের। পৌরসভায় ৭৮ জন জেলে রয়েছেন, তাদের মধ্যে ৬৪ জনের কার্ড রয়েছে।

শ্যামল হাওলাদার জানান, বাপ-দাদার পেশা এখনো ছাড়তে পারিনি। তাই তাদের অর্ধাহারে-অনাহারে জীবন চলছে। শুষ্ক মৌসুমে গড়াই নদীর ধুঁ-ধুঁ বালি চরে আটকে আছে তার মাছ ধরা ডিঙ্গি নৌকা। জাল দড়ি বাড়ির আঙ্গীনায় ঝুলিয়ে রেখেছেন।

তিনি বলেন, বছরের চার মাস গড়াই নদীতে মাছ ধরে জীবন জীবিকা নির্বাহ হয়। বাকী আট মাস বেকার বসে থাকতে হয়। সরকারের কোন সহায়তা তারা পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ করেন। তারমত অন্য জেলেরাও পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন।

উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা রাশেদ হাসান বলেন, জেলেদের সমস্যার বিষয়ে তিনি উদ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন। সরকারি কোন অনুদান ও সহায়তার বরাদ্দ আসলে অব্যশই তাদেরকে পৌচ্ছে দেওয়া হবে। গড়াই নদীর পানিশুন্য হয়ে পরার বিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য করেনি।