খোকসার কালীপূজার শুরু শুক্রবার দিনগত রাতে

0
148

স্টাফ রিপোর্টার

শুক্রবার মধ্যরাতে সাড়ে ৫শ বছর পুরাতন খোকসার কালীর বার্ষিক পূজা ও পক্ষকালের গ্রামীন মেলা শুরু হবে। প্রতিবছর মাঘী অমাবস্যার তিথিতে এ কালীর বার্ষিক পূজা ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

জানা গেছে, এ বছরের বার্ষিক পূজার উপলক্ষে সাড়ে সাত হাত লম্বা ক্ররিটিসহ ১১ হাত দীর্ঘদেহি কালী মূর্তি তৈরী করা হয়েছে। এখন চলছে রং ও সজ্জিত করার কাজ। শুক্রবার দিনগত গভীর রাতে জীবাবলীর মধ্য দিয়ে মূল পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। পরদিন শনিবার গোধুলী লগ্নে গড়াই নদীতে কালী প্রতিমা বিসজনের মধ্য দিয়ে বার্ষিক পূজার প্রথম পর্ব শেষ হবে। তবে পূজার আনুষ্ঠানিকতা চলবে মাঘী সপ্তমী পূজা পর্যন্ত।

কালীর বার্ষিক পূজা উপলক্ষে ইতোমধ্যে মেলার মাঠ জুড়ে কয়েক শ দোকানী পসরা সাজিয়ে বসেছেন। কালীবাড়ি যাতায়াতের রাস্তাগুলোর পাশে প্রায় ১ কিলোমিটার জুড়ে দোকানীরা দোকান সাজিয়ে বসেছে। ভারতসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পূণ্যার্থীরা নাট মন্দিরে আশ্রয় নিয়েছেন। এলাকার প্রতিটি বাড়িতেই এসেছে জামাই-মেয়ে, আত্মীয় স্বজন।

প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে আসা কৃষ্ণা সাহা জানান, তার জন্ম এদেশে। বিয়ের কারণে তারা ভারতে আছেন। কিন্তু পূজা আসলেই মন টানে মা কালী দর্শনের জন্য। স্বপরিবারে চলেও আসেন। একদিকে দেবী দর্শন হয়। অন্যদিকে পুরাতন স্বজনদের সাথে দেখা হয়।

কালী মন্দির কমিটির সভাপতি সুপ্রভাত মালাকার জানান, কালীর বার্ষিক পূজাচনার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। পূজা আরম্ভ শুধু সময়ের অপেক্ষা। মধ্য রাতে রাজা জমিদারী আমলের প্রথা অনুযায়ী ক্রোধের প্রতীক মহিষ ও কামের প্রতীক পাঠা বলীর মধ্য দিয়ে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।

তিনি আরো জানান, কালীর বার্ষিক পূজা উপলক্ষে প্রথাগত গ্রামীন মেলার জন্য জেলা প্রসাশনের কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করে আবেদন দিয়েছেন। মেলার অনুমোদনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধিন রয়েছে। পূজার অনুমতি লাগে না। মেলার অনুমতি মিললে পূজার সামগ্রী, বাঁশ, বেত, লোহার কৃষিযন্ত্রপাতি ও মনোহারি সমগ্রীর দোকানীরা দোকান মেলবে। অনুমতি না পাওয়া গেলে মেলা হবে না।

উল্লেখ্য, কিংবদন্তির আলোকে জানা যায়, প্রায় সাড়ে ৫ শতাধিক বছর আগে এক তান্ত্রিক সাধু গড়াই নদীর তীরে খোকসার কালীর পূজার গোরাপত্তন করেন। রাজা জমিদারী আমলে পূজা ও মেলার পরিধি বাড়ে। সে সময়ে কালীর বার্ষিক পূজা কেন্দ্র করে দেশ বিদেশের ভক্ত সমবেত হতে শুরু করে। এ সময় মাসাধিকাল ধরে গ্রামীন মেলা অনুষ্ঠিত হত।