খোকসায় দাড়িয়ে থাকা কার থেকে চালকের মৃতদেহ উদ্ধার

0
108

স্টাফ রিপোর্টার

খোকসা বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা প্রাইভেট কার থেকে চালকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে যাত্রীর অপেক্ষায় নিজের ছিটে ঘুমিয়ে থাকা চালক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যেতে পারে।

মঙ্গলবার প্রত্যুশে কুষ্টিয়া রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের খোকসা বাস স্টান্ডে নিজের সিটে মারা যাওয়া ওই চালকের নাম সামসুজ্জামান (৫৫)। সে নারায়নগঞ্জ থানার পঞ্চপুটি গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে। ধারনা করা হচ্ছে ওই চালক ঢাকাগামী যাত্রী পাওয়ার অপেক্ষায় বাস স্ট্যান্ডে ঘুমিয়ে ছিলেন। ঘুমের মধ্যে কোন এক সময় সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যেতে পারে।

থানা পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকালে ঢাকা মুখি একটি সাদা রং এর প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো গ – ৩১-৪২৫৭) বাস স্ট্যান্ডে দাড়ানো ছিল। স্থানীয় দালালরা ঢাকা গামী যাত্রীপেয়ে গাড়িটির ভেতরে ঘুমিয়ে থাকা চালককে জাগানোর চেষ্টা করে। দীর্ঘ সময় চেষ্টার পর গাড়ির ভেতর থেকে কোন সারা না পেয়ে তারা থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশের এসআই নিজেও চালকে জাগানোর চেষ্টা করেন। অবশেষে সারা না পেয়ে স্থানীয় মেকারকে ডেকে গাড়ির ডোরলক ভেঙ্গে ভেতর থেকে ৫৫ বছর বয়সী চালকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। নিহত চালকের পকেটে পাওয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স থেকে তার নাম ঠিকানা নিশ্চিত হওয়া যায়।

খোকসা বাস স্ট্যান্ডের একটি পরিবহনের কাউন্টারের পরিচালক মিরাজ বিশ্বাস জানান, প্রতিরাতেই ঢাকা এয়ারপোট থেকে ভাড়া নিয়ে আসা চালকরা এখানে ঘুমায়। সকালে এখান থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকায় ফেরেন। এই ভেবে সকালে স্থানীয়রা ওই ড্রাইভারকে জাগানোর চেষ্টা করে। কিন্তু সারা না পেয়ে থানা পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ এসে গাড়ির দরজা ভেঙ্গে তাকে উদ্ধার করে।

নিহত চালকের ছেলে বোরহান উদ্দিন জানান, সোমবার রাতে তার মায়ের সাথে বাবার ফোনে যোগাযোগ হয়েছিল। মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে তারা পুলিশের মাধ্যমে খবর পেছেন। তিনি জানান, গাড়ির দরজা বন্ধ ছিল, সে হেতু তার বাবা হৃদরোগে মারা যেতে পারেন। তারা ময়না তদন্ত ছাড়াই বাবার মৃতদেহ ফেরত চেয়েছিল পুলিশ তা দেয়নি।

খোকসা থানা পুলিশের এসআই বিপুল কুমার ঘোষ জানান, স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে তিনি ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে চালককে উদ্ধার করেন। সেখান থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃতবলে ঘোষনা করেন। পরে তার পকেটে পাওয়া কাগজপত্র থেকে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়। পরিবারের লোকেরা এসে নিহতের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন।

এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। ময়না তদন্তের পর পরিবারের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর করা হবে।