খোকসায় দেড় ঘন্টার পর মুক্তি পেলেন কৃষি কর্মকর্তারা

0
131

স্টাফ রিপোর্টার

সরকারী সার উত্তোলনের পর খুচরা দোকানীর কাছে সেই সার বিক্রির অভিযোগ উঠেছে কৃষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ঘুষ দাবির পাল্টা অভিযোগে দুই উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে আটকে রাখে সাধারণ কৃষকরা। প্রায় দেড় ঘন্টা পর আটক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের উদ্ধার করা হয়।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে কুষ্টিয়ার খোকসার শিমুলিয়া ইউনিয়নের কৃষক মোহম্মদ আলী নিজ নামে বরাদ্দ পাওয়া সরকারি সার খুচরা দোকানীর কাছে বিক্রির সময় হাতে নাতে ধরা পরে। অভিযুক্ত দোকানী ও কৃষকের সাথে রফা করার চেষ্টা করেন দুই উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম ও ফারুক হোসেন। এ সময় স্থানীয় কৃষকরা জড়ো হয়ে দুই কৃষি কর্মকর্তাকে আটকে রাখেন। প্রায় দেড় ঘন্টা পর বেলা ১টা ৩০ মিনিটের দিকে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঘটনাটির তদন্তের প্রতিশ্রæতি দিয়ে আটক দুই কর্মকর্তাকে কৃষকদের হাত থেকে উদ্ধার করেন।

কৃষি অফিস সূত্র জানায়, সরকারি সার অবৈধ ভাবে বিক্রির অভিযোগে অভিযুক্ত কৃষক মোহম্মদ আলী মালিগ্রামের ইয়াকুর আলীর ছেলে। তিনি নিজে দুই বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ শুরু করেছেন। কিন্তু কৃষি বিভাগের কাছে ভুল তথ্যদিয়ে ৫ বস্তা ইউরিয়া, ড্যাব ও এমওপি সার ডিলারের কাছ থেকে উত্তোলন করেছেন। পথমধ্যে পাইকপাড়া গ্রামের বাদশা নামের এক খুচরা বিক্রেতার কাছে সব সার বিক্রি করে দেয়। এ সংবাদের ভিত্তিতে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনা স্থলে গেলে তাদের আটকে রাখা হয়।

কৃষক মোহম্মদ আলী জানান, তিনি ৫ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করেছেন। অনেক তদবিরের পর তাকে এ দিন (বৃহস্পতিবার) সকালে সারের ¯িøপ দেওয়া হয়। তিনি সেই সার ডিলার আশরাফ আলীর ঘর থেকে তুলে বাড়ি ফিরছিলেন। পথমধ্যে ভাগিনা বাদশার কাছে দেনা থাকা সার ফেতর দিতে সেখানে সব সার নামান। এ সময় কৃষি অফিসের লোক তাকে আটকায়। এক পর্যায়ে ৫ হাজার টাকার দাবি করে। পরে অন্য কৃষকরা অফিসারদের আটকে রাখে।

আরও পড়ুন – বিলের জমির মাটি যাচ্ছে ইট ভাটায়

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, ওই কৃষক ভুল তথ্যদিয়ে অতিরিক্ত সার বরাদ্দ নিয়েছেন। ডিলারের কাছ থেকে সার তোলার পর আবার বিক্রি করে দেয়। এ সময় তারা উপস্থিত হলে তাদের মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে লাহ্ণিত করা হয়। পরে উর্দ্ধতন কর্মকর্তা ঘটনা স্থল থেকে তাদের উদ্ধার করেছে।

আরও পড়ুন – নিজ দোকানের ভেতর থেকে চা বিক্রেতার মরদেহ উদ্ধার

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল নোমান সাংবাদিকদের বলেন, কৃষকের বিরুদ্ধে সার বিক্রি ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়ার দু’টি ঘটনার তদন্ত হবে। অপরাধ প্রমানিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।