খোকসায় নৌকার নির্বাচনী ক্যাম্প পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ

0
132

স্টাফ রিপোর্টার

গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়ে আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কা প্রতীকের প্রার্থীর একটি নির্বাচনী ক্যাম্প পুড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার দিনগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে সংসদীয় আসন কুষ্টিয়া-৪ এর খোকসা উপজেলার ওসমানপুর ইউনিয়ন ৫ নম্বর ওয়ার্ডের রায়পুর সরদারদের মোড়ের নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে ক্যাম্পটির চেয়ার টেবিল আগুনে পুড়ে যায় । রাতে অগ্নিকান্ডের সময় ক্যাম্পে কর্মীরা ছিল না। প্রতিবেশীরা আগুনের ঘটনাটি টের পেয়ে পানি ঢেলে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। অল্পের জন্য আওয়ামী লীগ কর্মী শাহীন সদরদারের বাড়ি টি রক্ষা পেয়ে যায়।

নির্বাচনী ক্যাম্পটির দায়িত্বে থাকা ওসমানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কর্মী শাহীন জানান, রাত সাড়ে ১০ টার পর নেতাকর্মীরা বাড়ি যায়। গভীর রাতে প্রতিবেশীদের ডাকে তার ঘুম ভাঙ্গে। ততক্ষণে ক্যাম্পের কাপড় চেয়ার-টেবিল ও পোষ্টার পুড়ে যায়।

তিনি আরো বলেন, ট্রাক মার্কা প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোক অথবা তৃতীয় পক্ষ ক্যাম্পে আগুন দিয়েছে। এ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় থানায় অভিযোগ করতে যাচ্ছেন বলেও জানান। শাহীন নিজেকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মী বলেও দাবি করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী বয়বৃদ্ধ রাশিদা খাতুন জানান, শেষ রাতে তিনি ঘড়ির সময় দেখতে মসজিদে যান। এ সময় রাস্তায় আগুন জ্বলতে দেখে এগিয়ে যান। তিনিই লোকজন ডেকে আগুন নিভিয়েছেন। এ সময়ে ঘটনা স্থলে কাউকে দেখেননি বলেও জানান।

শাহীনের স্ত্রী চামেলী খাতুন জানান, তারা নিজের ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। প্রতিবেশীদের হাক-ডাকে তাদের ঘুম ভাঙ্গে। ক্যাম্পের জন্য ভাড়াকরা ১০টি প্লাষ্টিকের চেয়ার, একটি টেবিল ও অফিসে টাঙ্গানো নৌকার পোষ্টার পুড়ে ছায় হয়ে গেছে। প্রতিবেশীরা টের পাওয়ায় আগুনের থেকে তার পরিবার রক্ষা পেয়েছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নৌকা প্রার্থীর প্রতিনিধি বাবুল আখতার বলেন, এলাকাটি জামায়াত বিএনপি অধ্যুশিত। এবারই প্রথম তারা এই গ্রামে অফিস করেছেন। সম্প্রতি ওসমানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওয়াহিদুল ইসলাম ডাবøু’র নেতৃত্বে ট্রাক মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন। এই চক্রটি জামায়াত বিএনপির কর্মীদের দিয়ে ক্যাম্পটি পুড়িয়ে দিয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। নৌকা প্রতিকের প্রার্থীর পক্ষ থেকে সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা ও থানা পুলিশকে লিখিত দেওয়া হয়েছে। মামলাটি পক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান।

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, প্রার্থীর পরাজয় নিশ্চিত জেনেই তারা নিজেরা নিজেরা ঘটনা ঘটিয়ে গুজর ছড়াচ্ছে। তিনি জানান, তার বাবাও চেয়ারম্যান ছিলেন। তারা কখনো সন্ত্রাসীদের লালন করেন নি। তিনি বা তার পরিবারের কেউ সন্ত্রাসী ছিলো না। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের তীর চালানোর বিষয়ে অবহিত হওয়ার পর নিজে এ বিষয়টি উপজেলা পরিষদের মাসিক আইন শৃঙ্খলা কমিটিরতে তুলেছিলেন। নিরপেক্ষ তদন্ত করলে প্রকৃত ঘটনা বেড়িয়ে আসবে বলেও জানান।

থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আননুর জায়েদ এর সাথে কথা বলা হয়। তিনি জানান, এখন প্রযুক্তির যুগ। সিসি ক্যামেরা ভাড়ায় পাওয়া যায়। সিসি ক্যামেরা থাকলে ঘটনা বুঝতে সহজ হত। পুলিশ ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে বলেও জানান।