স্টাফ রিপোর্টার
কুষ্টিয়ার খোকসায় আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে রাতের আঁধারে বিএনপির সার্চ কমিটির সদস্য ও তার সমর্থকদের চারটি বাড়িতে হামলা ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। তবে প্রতিপক্ষের দাবি আগে তার তিন কর্মীর বাড়িতে হামলা ভাংচুর করা হয়।
মঙ্গলবার দিনগত গভীর রাতে উপজেলার খোকসা ইউনিয়নের হিলালপুর গ্রামে উপজেলা বিএনপির সার্চ কমিটির সদস্য শিহাব উদ্দিন মৃধা তার সমর্থক একই গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, বাহাদুর খা ও ইদ্রিস শেখের বাড়িতে এ হামলা ভাংচুর করা হয়। রাত শোয়া ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত প্রায় ৪০/৪৫ মিনিট ধরে প্রতিপক্ষের ১৫/১৬ জন স্বশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী হামলা চালায়। হামলাকারীদের প্রত্যেকের হাতে দেশীয় অস্ত্র ছিল। নিদ্রিষ্ট বাড়ি গুলোতে তারা হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে। তবে রাত ৯ টার দিকে প্রতিপক্ষ রাশেদ, সাইদুল ও আসাদের বাড়িতে হামলা ভাংচুর করে বরে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, রাজনৈতিক বিরোধ ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের সূত্র ধরে সম্পতি প্রতিপক্ষের লোক শিহাব মৃধার জমি থেকে কয়েকটি মেহগণি গাছ কাটে নেওয়ার চেষ্টা করে। এর পর থেকে ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি কাউসারুল আলম সয়ুদ ও বিএনপি নেতা শিহাব মৃধ’র বিরোধ প্রকাশ্য রুপ লাভ করে। এরই সূত্র ধরে মঙ্গলবার রাতে হামলা ঘটনা ঘটতে পারে।
বুধবার দুপুরের সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের সাথেই হিলালপুর গ্রামের শিহাব মৃধার নির্মানাধিন দোতালা বাড়ির সিড়ির কিছু গøাস ভেঙ্গে ফেলেছে দুবৃত্ত¡রা। একটু এগিয়ে গিয়ে ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাকের বসত বাড়ি। পায়ে হাটা পথের পাশ দিয়ে তার শোবার ঘর। ঘরের পেছরে দিকের প্রায় ৫টি জানালা ভেঙ্গে ঘরে ঢোকবার চেষ্টা করো হয়েছে। একই ভাবে ভাংচুর করা হয়েছে বাহাদুর খা ও ইদ্রিসের বাড়ি।
মেম্বর আব্দুর রাজ্জাক কে বাড়িতে পাওয়া গেলো না। শিশু কোলো বাড়ির ভেতর বেড়িয়ে এলেন তার মেয়ে ‘মায়া’। খুলে বললেন হামলার সময়ের তাদের দূর্বিসহতার কথা। তাদের বাড়ির ভেতর ও বাইরে থেকে হামলা করা হয়। এ সময় তারা ৯৯৯ নম্বরে কল করেছিল। কিন্তু ঢুকতে পারেন নি। পরে থানার নম্বরের কলা করা হলে পুলিশ এসেছিল। হামলাকারীরা চলে গেলে। হামলা কারীরা তাদের বাড়িতে ১০ মিনিট ছিল।
বাহাদুর-আঞ্জুয়ারা দম্পতি জানান, রাত সাড়ে ১২ টার দিকে হামলাকারীরা তার বাড়ির প্রবেশের গেট ভেঙ্গে ফেলে। এরপর বাড়ির ভেতর ও বাইরে থেকে দরজা জানলা ভাঙ্গার চেষ্টা করে। হামলাকারীরা তাদের হত্যার হুমকীও দিয়েছে।
উপজেলা বিএনপির সার্চ কমিটির সদস্য শিহাব উদ্দিন মৃধা দাবি করেন, তার নাম সার্চ কমিটিতে আসার পর থেকে খোকসা ইউনিয়ন কমিটির সাবেক সভাপতি কাউসারুল আলম সয়ুদ তার (শিহাবের) সাথে শক্রতা শুরু করেছেন। তার জমি থেকে গাছ কেটে নেওয়া চেষ্টা করা হয়। তাকে হত্যার হুমকী দিয়ে আসছিল। এবার রাতের আধারে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে চার বিএনপি কর্র্মীর বাড়িতে হামলা ভাংচুর করেছে। গ্রামবাসী এগিয়ে না এলে হামলাবারীরা লুটপাট করতো বলেও তিনি দাবি করেন। এ হামলার ঘটনায় তিনিসহ ক্ষতিগ্রস্তরা মামলা করবেন বলে জানান।
খোকসা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি কাউসারুল আলম সয়ুদ বলেন, ঘটনার রাতে প্রতিপক্ষ তার তিন কর্মীর বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করে। এ ঘটনার পর তার ক্ষুদ্ধ কর্মীরা ভাংচুর করতে পারে।
আরও পড়ুন – খোকসায় ডাম্ব ট্রাক চাপায় তিন স্কুল ছাত্রসহ ৪ জন আহত
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মঈনুল ইসলাম বলেন, ক্সতিগ্রস্তরা অভিযোগ নিয়ে থানায় গিয়েছিল। তিনি সকাল থেকে জেলা সদরে মিটিংএ আছেন ফিরে ব্যবস্থা নেবেন।