খোকসায় লিচুর ফলনে বিপর্যয়

0
143
ফল শুন্য গাছ দেখাচ্ছেন রাজু

স্টাফ রিপোর্টার

কুষ্টিয়ার খোকসায় তীব্র তাপদাহে লিচু ফলনে বিপর্যয় ঘটেছে। ফলে ক্ষতির মুখে পরেছে লিচুর বাগান ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীরা বলছে, চলতি মৌসূমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উপজেলার গোপগ্রাম, সাতপখিয়া, বড়ই চারা, বসোয়া, দশকাহুনিয়া, মানিকাট গ্রামের লিচু বাগান গুলোতে প্রচুর লিচুর গুটি দেখা দেয়। কয়েকমাস বৃষ্টির দেখা না মেলায় লিচুর গুটি ঝড়ে যায়। ফল রক্ষায় কৃষকরা প্রথম দিকে বিভিন্ন প্রকার কীটনাষক ও বাগানে পানি সেচ দিতে থাকে। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। বাগান গুলোর অধিকাংশ গাছ এখন ফল শুন্য হয়ে পরেছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি উৎপাদন মৌসূম পর্যন্ত উপজেলায় প্রায় ১০৩ হেক্টর জমিতে লিচু আবাদ হয়েছে।

গোপগ্রাম ইউনিয়নের লিচুর বাগান মালিক তৌহিদুর রহমান রাজু জানান, যখন লিচু গাছে মকুল আসে তখন আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় প্রতিটি গাছে প্রচুর ফল ছিল। অনাবৃষ্টি ও প্রচন্ড তাপদাহে লিচু গাছের ফল ঝরে পড়েছে। তাদের ২০ বিঘা জমির উপর তার লিচু বাগান রয়েছে। বাগানে প্রায় ৫শ টি গাছ আছে কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১৫/১৬ টা গাছে লিচু রক্ষা করতে পেরেছেন। বিগত বছরের তাদের বাগান থেকে প্রায় তিন সাড়ে তিন লাখ টাকার লিচু বিক্রি করা হয়েছি। এবছর সব মিলিয়ে ২০ হাজার টাকার ফল বিক্রি হবে কী না তা নিয়ে তাদের শঙ্কা রয়েছে।

একই গ্রামের কৃষানী রোজিনা খাতুন হতাশ তার লিচু বাগানে ফল না আশায়।

লিচুর বাগান ব্যবসায়ী হারেজ আলী জানান, ১ লাখ ৮০ হাজার টাকায় তিনি দশকাহুনিয়া গ্রামে একটি লিচুর বাগান ইজারা নিয়েছিলেন। প্রথম দিকে তার বাগানে প্রচুর ফল ছিল। কিন্তু চরম তাপদাহে তার বাগানে ৬৮টি গাছের একটি তেও ফল নেই। মালিক বায়নার টাকা ফেরত দিচ্ছেন না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সবুজ কুমার সাহা জানান, লিচুর ফলনে বিপর্যয় হয়নি এখনো চলমান রয়েছে। প্রচন্ড খরার ফলে কিছু ফলন নষ্ট হতে পারে। তবে এবারে লিচু ল্যমাত্রার থেকে অধিক আবাদ হয়েছে।