দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক
এ বছর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বার্ষিক ও সমাপনী পরীক্ষা হবে না। সব শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কাস ও বাসার কাজের ওপর স্ব-স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মূল্যায়ন করবে।
সোমবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত ২৬ অক্টোবরের সভায় এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চলতি বছর প্রাথমিক শিা সমাপনী ও বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হবে না। শিক্ষার্থীদের কাস ও বাসার কাজের ওপর মূল্যায়ন করে পরবর্তী ক্লাসে তোলা হবে।
মন্ত্রী বলেন, যেহেতু এ বছরের অধিকাংশ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল, সে বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ তৈরি না করতে সমাপনী ও বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে না।
মন্ত্রী মো. জাকির হোসেন জানিয়েছিলেন, প্রাথমিকের সমাপনী কেন্দ্রীয়ভাবে হবে না। সম্ভব হলে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হবে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে। পরীক্ষা ছাড়া সার্টিফিকেট দিলে তাতে সমাজে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাই সমাপনী-ইবতেদায়ি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হলেও বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা নিয়ে মূল্যায়ন করা হবে।
তবে মন্ত্রণালয় থেকে সোমবার জানানো হয়, কোনো পরীক্ষা নেওয়া হবে না। মূল্যায়নের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করা হবে।
গত ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্তে জানানো হয়, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না বলে প্রধানমন্ত্রী সার-সংক্ষোপ সম্মতি দিয়েছেন। নিজ নিজ বিদ্যালয়ের মাধ্যমেই মূল্যায়ন করা যেতে পারে। আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পরিস্থিতি বিবেচনায় ক্লাসের সংখ্যা বাড়ানো যেতে পারে। কাসের সংখ্যা বাড়িয়ে ডিসেম্বরের শেষে বিগত শিক্ষাবর্ষের মতো বর্তমান শিক্ষাবর্ষেও শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা যেতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী সার-সংক্ষোপ অনুমোদনসহ নির্দেশনা দিয়েছেন। ২০২০ শিক্ষাবর্ষে যেভাবে নিজ নিজ বিদ্যালয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হয়েছে, সেভাবে ২০২১ শিক্ষাবর্ষেও করা যেতে পারে।