ঝিনাইদহে কমেছে মিলারদের চাল বিক্রি

0
128

ঝিনাইদহে কমেছে মিলারদের চাল বিক্রি

ঝিনাইদহের চালকল মালিদের চাল বিক্রি কমে গেছে। শেষ দশ দিনে বিক্রির পরিমাণ কমেছে গড়ে ৭০ ভাগ। চালের দামও মোটা-চিকোন ভেদে কমেছে গড়ে দুই টাকা।

সারা বাংলাদেশে চাল উৎপাদনে অন্যতম স্থান দখল করে আছে ঝিনাইদহ। জেলার ৬ উপজেলায় ১৫ টি অটো রাইস মিল এবং পাচ শতাধীক হাস্কিং মিল রয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলার ডাকবাংলা ত্রিমোহনী এলাকায় রয়েছে সব থেকে বেশী চাল মিল। এসব মিল থেকেই প্রতিদিন হাজার হাজার টন চাল যায় দেশের বিভিন্ন এলাকায়। কিন্তু বেশ কিছু দিন কমে এসেছে চাল বিক্রির পরিমান। সরকারের খাদ্য মন্ত্রনালয়ের চালের বাজার দর নিয়ন্ত্রণে এলসি’র মাধ্যমে চাল আমদানী করা হবে এমন আতঙ্কে বিভিন্ন এলাকার মিল মালিকরা আসছেন না এসব এলাকায় চাল কিনতে। ফলে মিলারদের চাল বিক্রি কমেছে শতকরা প্রায় ৭০ ভাগ।

মিল মালিকরা জানান, কেজি প্রতি চালের দাম ২ থেকে ৩ টাকা কমে আসলে ব্যবসায়ী ও ভোক্তা সকলের জন্যই বাজারে ভারসাম্য ফিরে আসবে।

মিল মালিক আক্তার হোসেন ভান্ডারী জানান, বেশ কিছুদিন ধরে ব্যবসা অত্যন্ত মন্দা যাচ্ছে। বেচা-বিক্রি অনেক কমেছে। তারপর যদি এলসি’র চাল দেশে ঢোকে তাহলে আমাদের লোকসান গুনতে হবে।

জেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, করোনার মধ্যে ব্যবসা এমনিতে মন্দা যাচ্ছে। অনেকেই বেশী দামে ধান কিনে রেখেছে। ফলে এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে ব্যবসায়ীদের তির শেষ থাকবে না।

তিনি আরো বলেন, যদি এলসি’র মাধ্যমে চাল আমদানী করে তাহলে যেন ব্যবসায়ীদের দিক বিবেচনা করা হয়।