ঝিনাইদহে ধানের সরকারি মূল্য থেকে বাজার মূল্য বেশি

0
137
ফাইল ছবি

ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি

ঝিনাইদহে ধানের সরকারি মুল্য থেকে বর্তমান বাজারে দাম বেশি হবার কারনে সরকারি গুদামে কম মূল্যে ধান বিক্রি করছেন না কৃষকরা । অভ্যন্তরীন বোরো ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পুরণ না হওয়ার আশংকা করছে সংশ্লিষ্টরা।

একমাস আগে বোরো ধান ঘরে তুলেছেন কৃষক। ভরা মৌসুমেও প্রকার ভেদে ধানের দাম ১ হাজার থেকে ১২’শ টাকা বিক্রি হয়েছে। বর্তমান বিভিন্ন হাটবাজারে একই দামে ধান বিক্রি হচ্ছে। এবার সরকারি সংগ্রহ মূল্য ধার্য করা করা হয়েছে প্রতি কেজি ২৬ টাকা। অর্থাৎ প্রতি মন এক হাজার ৪০ টাকা। এ কারণেই কৃষকরা ধান দিতে অনীহা প্রকাশ করছে।

এ বিষয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শেখ আনোয়ারুল কবির বলেন, চলতি বছরে জেলার ৬ উপজেলা থেকে ১৪ হাজার ১৪২ টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এখন অব্দি মাত্র ১’শ ২১ টন ধান সংগ্রহ হয়েছে। কার্ডধারী এবং ডিজিটাল এ্যাপসের মাধ্যমে নির্বাচিত কৃষক এবার ধান দিচ্ছে না। বাজারে ধানের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকেরা খাদ্যগুদামে ধান বিক্রি করছে না।

হাটগোপালপুরের কৃষক নাজির উদ্দিন বলেন, সরকারি খাদ্যগুদামে ধান বিক্রি করলে পাব ১ হাজার ৪০ টাকা। সেখানে গেলেও ধান ভিজা আছে, চিটা আছেসহ নানা ঝামেলায় পড়তে হয়। এখন বাজারে ধানের দাম বেশি বলে ধান বিক্রি করে দিয়েছি। তিনি আরও বলেন, অন্যান্য বছর ধানের দাম কম হওয়ার কারণে আমরা ধান বিক্রি করতে গেলে দালাল চক্র আমাদের ধান বিক্রি করতে দিত না। তাই এবার ধানের দাম বেশি হওয়ার কারণে আমরা ধান দিচ্ছি না।

জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বলেন, এটা ঠিক যে, অভ্যন্তরীন বোরো ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা এবছর পুরণ হচ্ছে না তবে ধান সংগ্রহের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্যে কৃষকের ধানের ন্যায্য মুল নিশ্চিত করা। কৃষক ধানের দাম ভালো পেলেই হলো।

আরও দেখুন

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহায়তার ওএমএস পাচ্ছেন করোনায় ঘরবন্দীরা

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃপাংশু শেখর বলেন, চলতি বছর এ জেলায় ৭৭ হাজার ৫৩৫ হেক্টরে বোরো চাষ হয়েছে। আর ধান উৎপাদন হয়েছে ৫ লাখ টন। ঘুর্ণি ঝড় আম্পানে বেশ কিছু ধানের ক্ষতি হয়েছে। এবার কৃষক ধানের দাম ভালো পেয়েছে। এতে ঘুর্ণি ঝড় আম্পানের ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিতে পারবে। আর দাম ভালো পাওয়ায় আগামীতে ধান চাষে তারা আগ্রহী হবে।