ঝিনাইদহে শিশুর অস্বভাবিক মৃত্যু

0
122

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনইদহের গ্রামে ২য় শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। শিশুটির বাবার অভিযোগ তাকে হত্যা করা হয়েছে।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চুটলিয়া গ্রামে রহস্যজনক ভাবে মারা যাওয়া ওই ছাত্রীর নাম রানী খাতুন (১০)। সে স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণির ছাত্রী ছিল। রবিবার দিনগত রাতে শিশুটি তার নানা বাড়িতে মারা যায়। আর এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শিশুটির বাবা আব্দুর রাকিব দাবি করছেন, তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মা বলছেন জ্বরের কারনে তার মৃত্যু হয়েছে।

জানা গেছে, শহরের কানঞ্চনপুর গ্রামের আব্দুর রাকিবের সাথে সদর উপজেলার চুটলিয়া গ্রামের ইলিয়াস কাজীর মেয়ে ঝর্না খাতুনের বিয়ে হয়। ৪ বছরের মাথায় ২০১৪ সালে পারিবারিক কলহের জের ধরে তাদের বৈবাহিত সম্পর্ক বিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকে মেয়ে রানীকে নিয়ে ঝর্ণা তার বাবার বাড়ীতে থাকতো। শিশু রানী বাবাও তার নানার বাড়িতে আসা যাওয়া করত। গত ১০ অক্টোবর বাবার বাড়ী থেকে জ্বর নিয়ে চুটলিয়া গ্রামে নানা বাড়ীতে আসে রানী।

এদিকে শিশুটির পিতা আব্দুর রাকিব অভিযোগ করে বলেন, রানীকে মারধর করা হয়েছে। মারধরের কারণেই ও মারা গেছে।

মৃত শিশুটির মা ঝর্ণা খাতুন জানান, রাত ১০ টার দিকে রানীর গায়ে জ্বর ছিল। গায়ে কম্বল জড়িয়ে সে টিভি দেখছিল । তিনি মেয়ের পাশে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। রাত ২ টার দিকে উঠে দেখেন মেয়ে (রানী) বিছানায় নেই। পরে তাকে বাথরুমের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়।

মৃত ছাত্রীর নানা ইলিয়াস কাজী জানান, ওকে ঘাড়ে তোলার পর ২টি ঝাকি দিল। তারপর সে মারা গেছে। ওর গায়ে জ্বর ছিল খুব।

ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সোহেল রানা বলেন, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে কি কারণে তার মৃত্য হয়েছে ময়না তদন্ত ছাড়া এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না।