ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
হতদরিদ্র আমির হোসেন মন্ডলের একটি মাত্র ভ্যান সংসারে আয় রোজগারের সম্বল ছিল। নিজের অসুস্থতার কারণে বিক্রি করেছেন সেটি। তারপরও পূর্ণ চিকিৎসা নিতে পারছেন না তিনি।
চিকিৎসকরা বারবার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা যেতে বলেছেন। কিন্তু হতদরিদ্র ভ্যান চালক আমির মন্ডলের তেমন কোন অর্থ না থাকার দরুন চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তিনি। এমনকি অর্থাভাবে চিকিৎসা নিতে না পেরে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল থেকে সোজা বাড়ি চলে গেছেন আমির মন্ডল।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বৈডাঙ্গা গ্রামের জোয়ারদার পাড়ার মৃত মফিজ উদ্দীন মন্ডলের ছেলে আমির হোসেন (৫৫) এখন জীবন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।
হতদরিদ্র আমিরের সংসারে রয়েছে স্ত্রী’সহ তিন কন্যা। নিজের অসুস্থতার কারণে থমকে আছে সংসারের চাকা। ভ্যানটি বিক্রি করে দিয়ে পড়েছেন আরও বিপাকে। বেঁচে থাকার আর কোন নতুন আলোর দেখা মিলছে না তার।
আরও পড়ুন করোনা কালের ক্রীড়া অঙ্গণ
আমির মন্ডলের স্ত্রী সোনা ভানু বলেন, তার স্বামীর বুকের হাড় ক্ষয়ে যাচ্ছে। সাথে রয়েছে এ্যাজমা’র সমস্যা। বিগত ৭ বছর ধরে আমির এই রোগে ভুগছেন। অর্থ না থাকায় ভাল ভাবে নিজেকে চিকিৎসা করাতে ব্যার্থ হয়েছেন তিনি।
প্রতিবেশি বৈডাঙ্গার সেরেগুল হোসেন বলেন, ভ্যানচালক আমির হোসেন হতদরিদ্র পরিবারের মানুষ। ১০ দিন হাসপাতালে থাকার পর টাকা জোগাড় করতে পারেনি। চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর অথবা ঢাকার ভাল কোন হাসপাতালে নিতে বলেছিলেন। কিন্তু তার চিকিৎসার কোন অর্থ নেই। ফলে স্ত্রী ও তিন মেয়ে নিয়ে হতাশায় পড়েছেন ভ্যান চালক আমির।
সমাজের বিত্তবানরা কেও আর্থিক সহায়তা করতে চাইলে আমির হোসেনের ছোট কন্যা জুলিয়ার ০১৯৫০৪১৪৮৮২ নাম্বারে যোগাযোগ বা বিকাশ করতে অনুরোধ করেন।