দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের পরিবহনমালিক-শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, যাত্রীদের কাছ থেকে কোনোভাবেই যেন নির্ধারিত ভাড়ার বেশি আদায় করা না হয়। তিনি আরো বলেন, এ ব্যাপারে প্রতিশ্রæতি ভঙ্গ করলে জনস্বার্থে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।
সোমবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবনে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এই হুঁশিয়ারি দেন। এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, গ্যাস, অকটেন ও পেট্রলচালিত যানবাহনের েেত্র বর্ধিত ভাড়া প্রযোজ্য হবে না।
টানা তিন দিন সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের পর ভাড়া বাড়িয়ে রবিবার বিকালে ধর্মঘট প্রত্যাহার করেন পরিবহনমালিকেরা।
সারা দেশে দূরপাল্লার বাস-মিনিবাসের ভাড়া বেড়েছে গড়ে ২৭ শতাংশ। রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরে বেড়েছে ২৮ শতাংশ। রবিবার বিকালে পরিবহনমালিক নেতাদের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপ (বিআরটিএ) বাড়তি ভাড়া ঘোষণা করে। বাড়তি ভাড়া শুধু ডিজেলচালিত বাস-মিনিবাসের েেত্র প্রযোজ্য হবে। সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাসচালিত (সিএনজি) বাস-মিনিবাস পুরোনো ভাড়াতেই চলবে। বাড়তি ভাড়া ঘোষণার পর পরিবহনমালিক সমিতির নেতারা তাৎণিকভাবে ধর্মঘট প্রত্যাহারের কথা জানান।
বিএনপির নেতাদের বিভিন্ন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশে কোনো ভয়ংকর পরিস্থিতি নেই। জনস্বার্থে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, দুর্নীতিবাজ ও অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান কঠোর।
জনগণের সম্পদ যারা লুণ্ঠন করে, তাদের বিরুদ্ধে স্বাভাবিকভাবেই সরকারের অবস্থান কঠোর বলে উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি সম্পদ লুণ্ঠনকারীদের প নিয়েছে বলেই এ ধরনের বক্তব্য দিচ্ছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ককে হত্যা করে স্বাধীনতার চেতনাবিরোধী ধারায় রাষ্ট্র পরিচালনা করেছিল, সিপাহি জনতার বিপ্লবের নামে দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করেছিল, সময় এসেছে তাদের মুখোশ উন্মোচন করার।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের ৩ থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত যেসব ষড়যন্ত্রমূলক ঘটনা ঘটেছে, তা জনসমে আনা হয়নি। বরং কারও কারও কৃত্রিম ইএেৎ তৈরি করা হয়েছে। তদন্ত কমিশন গঠনের মাধ্যমে এসব ঘটনা ও দায়ীদের মুখোশ উন্মোচন এখন সময়ের দাবি।
নেতা-কর্মীদের হয়রানি নিয়ে বিএনপি নেতাদের অভিযোগ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, পূজামন্ডপে হামলা করেছে যারা, আগুন জ্বালিয়েছে যারা, যারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে চেয়েছে, বিএনপির ভাষায় তারা দেশপ্রেমিক।