ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
এক দিকে যৌতুকের দাবি পুরনের ব্যর্থতা অন্য দিকে স্বামীর পরকিয়ায় বাধা দেওয়ায় গৃহবধু স্বপ্না খাতুনের কাল হয়েছে। স্বামীর নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তিও হয়েছিলেন। রবিারর সুস্থ হয়ে সে স্বামীর সংসারে ফিরে যায়। কিন্তু স্বামীর পরিবারের লোকেরা তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে।
স্বপ্না খাতুন অভিযোগ, চার বছর আগে পরিবারিক ভাবে বাবুল আক্তারের সাথে তার বিয়ে হয়। বাবুল কুমড়াবাড়িয়া গ্রামের ওমর আলীর ছেলে। তাদের সংসারে একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর বাবুলকে নগদ তিন লাখ টাকা ও একটি ডিসকভার মটর সাইকেল সহ মোট পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক হিসবে দেওয়া হয়। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই বাবার বাড়ি থেকে আরো টাকা এনে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে স্বামী বাবুল। তার স্বামী গ্রাম্য ডাক্তার হওয়ার সুবাদে একাধিক প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে তার সক্ষতা ও পরকীয়ার সম্পর্ক গরে ওঠে। এ সব ঘটনার প্রতিবাদ করায় তার উপর শুরু হয় মধ্যযুগীয় নির্যাতন। মশা তারানোর কয়েলের আগুন দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন অংশে ছ্যাকা দিয়েছে পাষন্ড স্বামী।
গত ২৬ আগষ্ট যৌতুকের জন্য স্বামী, শ্বশুর ওমর আলী, শ্বাশুড়ি জামেনা বেগম, দেবর সাগর আলী ও ননদ শামীমা নাসরিন গৃহবধূর উপর নির্যাতন চালায়। এক পর্যায়ে স্বপ্না খাতুন জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসা শেষে রবিবার সে আবার স্বামীর সংসারে ফিরতে চেষ্টা করে। কিন্তু স্বামীর বাড়িতে তার আর জায়গা হয়নি। তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।
স্বপ্না অভিযোগ করেন, বর্তমান প্রতাপপুর গ্রামের সাথী নামের এক নারীর সঙ্গে তার স্বামীর অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। এসব ঘটনার প্রতিবাদ করায় তার উপর শুধু নির্যাতনই নয়, তার গর্ভের তিন মাসের সন্তানও নষ্ট করতে বাধ্য করেছে পাষন্ড স্বামী বাবুল।
স্বপ্নার পিতা গাড়ামারা গ্রামের সামছুল হক জানান, বিয়ের পর থেকেই বাবুল আক্তার ও তার পরিবারের সদস্যরা নানা ভাবে তার মেয়ের উপর নির্যাতন চালিয়ে আসছে। ন্যায় বিচার পেতে তারা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন।
বাবুল আক্তারের সাথে কথা বলতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আনিসুজ্জামান বলেন, ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি সাহেব মামলাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি ভিকটিমের বক্তব্য শুনেছেন।