পুলিশের তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করলো ডিবি

0
58

দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানায়, প্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সুপারনিউমারারি পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) শাহেন শাহ্, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সুপারনিউমারারি পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) জুয়েল রানা ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম।

শুক্রবার তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির ডিবি উত্তর বিভাগের যুগ্ম কমিশনার রবিউল হোসেন ভূঁইয়া। তিনি বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে বৃহস্পতিবার তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গৃহকর্মী লিজা আক্তার হত্যার মামলায় জুয়েল রানাকে চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া শাহেন শাহ এর মামলার নথি মহানগর আদালতে থাকায় আদালত তার বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী সোমবার দিন ধার্য করেন।

শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরী তাঁর রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে শুক্রবার বিকালে জুয়েল রানাকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার পুলিশ পরিদর্শক পায়েল হোসেন। তিনি আসামির ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আসামিপক্ষ রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহেন শাহকে আদালতে আনা হলে মামলার নথি মহানগর আদালতে থাকায় আদালত তার বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী সোমবার দিন ধার্য করেন।

আরও পড়ুন – প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে সাকিব আউট, হাসান মুরাদ ইন

গতকাল ১৭ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের এক আদেশে ৪ পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের অনুমতি দেওয়া হয়। তারা হলেন-অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সুপারনিউমারারি ‘পুলিশ সুপার’ পদে পদন্নোতিপ্রাপ্ত) শাহেন শাহ্, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সুপারনিউমারারি ‘পুলিশ সুপার’ পদে পদন্নোতিপ্রাপ্ত) জুয়েল রানা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদন্নোতিপ্রাপ্ত) হাসান আরাফাত ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম।