বিএনপির নবগঠিত আহবায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন

0
35

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়া বিএনপির নবগঠিত আহবায়ক কমিটি বাতিল, ত্যাগী বঞ্চিত ও পরীক্ষিত নেতা-কর্মীদের সমন্বয়ে নতুন কমিটি গঠনের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন পদবঞ্চিতরা।

রবিবার বেলা ১১ টার দিকে শহরের প্রধান সড়ক এনএস রোডের দুই পাশে অবস্থান নিয়ে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। পরে পাবলিক লাইব্রেরীর মাঠে সমাবেশ করেন নেতাকর্মীরা। এসময় নেতাকর্মীরা বিএনপির নবগঠিত আহবায়ক কমিটিকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে, ‘মামা-ভাগনে পকেট কমিটির মানি না, মানবো না’ ¯েøাগান দেন।

মানববন্ধন পরবর্তী সমাবেশে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামীম উল হাসান অপু বলেন, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটি বাতিল চেয়ে হাজার হাজার নেতাকর্মী আজকে আমাদের কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। তারা ইতোমধ্যেই ¯েøাগান তুলেছেন, কুতুবউদ্দিন আহমেদ-জাকির হোসেন সরকারের নেতৃত্বাধীন মামা-ভাগনে পকেট কমিটি মানি না, মানবো না। যতক্ষণ পর্যন্ত এই কমিটি বাতিল করে, ত্যাগী বঞ্চিত, পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করা না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের এই আন্দোলন সংগ্রাম চলবে। দু-একদিনের মধ্যেই নতুন কর্মসূচি দেওয়া হবে।

মানববন্ধনে এনএস রোডের দুই ধার দিয়ে হাজারো নেতাকর্মী ব্যানার নিয়ে অবস্থান নেন। এ সময় অনেকের হাতেই ছিল নতুন কমিটি বাতিলের দাবি সম্বলিত লিফলেট।

কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজল মাজমাদার বলেন, কেন্দ্র দুইজনের কমিটি দিয়েছে, পরে সেই দুইজন যে ৩১ সদস্যের কমিটি দিয়েছে সেটা অবৈধ কমিটি, এই কমিটিতে ত্যাগীদের বঞ্চিত করা হয়েছে।

পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা থানা মোড় থেকে একটি মিছিল নিয়ে এনএস রোড দিয়ে বড়বাজার যান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু, কুষ্টিয়া যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি মেজবাউর রহমান পিন্টু ও জেলা কৃষক দলের সাবেক আহ্বায়ক এসএম গোলাম কবির প্রমুখ।

আরও পড়ুন – চালকের চোখে মরিচের গুড়া ছিটিয়ে গরু ডাকাতির

প্রসঙ্গত, গত ৩ নভেম্বর কুতুব উদ্দিন আহমেদকে আহবায়ক ও প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকারকে সদস্য সচিব করে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত এই আহ্বায়ক কমিটিতে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক তিন এমপি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন ও অধ্যাপক শহিদুল ইসলামসহ বিগত কমিটির সিংহভাগ নেতা-কর্মীই বাদ পড়েছেন।