দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক
সাদা পোশাকে পুলিশের মাদক আসামী ধরার অজুহাতে মা-বোনকে লাঞ্ছিত করায় অপমানে গলায় ফাঁস দিয়ে সালমান ইসলাম মারুফ (১৬) নামে এক কিশোর আত্মহত্যা করেছে।
বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগরীর আগ্রাবাদের বাদামতলী মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশের এসআই হেলালকে প্রত্যাহার করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ । ঘটনা তদন্তে দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
আরও দেখুন-করোনায় কেমন আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ?
স্থানীয়রা বলেন, আসামি মারুফকে ধরতে আগ্রাবাদ বাদামতলী এলাকায় অভিযান চালায় ডবলমুরিং থানার উপপরিদর্শক হেলালসহ আরও চারজন। ডিউটি পুলিশ সাদা পোশাকে থাকায় না চিনতে পেরে, তাদের সাথে হাতাহাতিতে জড়ায় মারুফ। এসময় মারুফের মা ও বোন ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। একপর্যায়ে মারুফকে ছাড়াতে তারও পুলিশের সাথে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন।
পালিয়ে যান মারুফ এবং তার কারনে মা ও বোনকে তার কারণে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে ভেবে চাচার বাসায় গিয়ে সিলিং ফ্যানে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
আরও দেখুন- দ্বীপচর বাসীর কান্না দেখার কেও নেই ??
মারুফের মা বলেন, তার ছেলে লাকি প্লাজার একটি দোকানে কাজ করে। সে কোনো ধরনের অন্যায় কাজের সাথে জড়িত না। ‘এসআই হেলালকে প্রথমে চিনতে না পারলেও পরে তার হাতে পায়ে ধরে বলেছি আমার ছেলে নিরাপরাধ তাকে ছেড়ে দেন। কিন্ত তিনি কোনো কথা না শুনে আমাদের ওপর হামলা চালায়, ঘরের মালামাল ভাঙচুর করে। আমার মেয়েকে নির্যাতন করে এবং আমার কাপড় ছিঁড়ে ফেলে। আটকের ভয় দেখিয়ে এক লাখ টাকা দাবি করে। না হয় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে মামলা করে চালান দেয়ার ভয় দেখায়। এ খবর শুনে আমার ছেলে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে|
আরও পড়ুন- ভ্যান চালক নিজের টাকায় গড়ে দিলেন সেতু
রাত ১২টার দিকে ডবলমুরিং থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করতে গেলে এলাকাবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়ে। তারা মারুফের মৃত্যুর জন্য পুলিশকে দায়ী করে এসআই হেলালের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ করে।
সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার এম হুমায়ুন কবির বলেন, সাদা পোশাকে পুলিশ মাদক মামলার আসামি ধরতে গেলে আসামির মা-বোন পুলিশের উপর হামলা করে আসামী মারুফকে ছিনিয়ে নেয়। তবে এ ঘটনার পর পরই অভিযুক্ত ডবলমুরিং থানার এসআই হেলাল খানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।