মাগুরা প্রতিনিধি
মাগুরায় এক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্যের বিরুদ্ধে ভাতার কার্ড ও ঘর বরাদ্দসহ সব কাজে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে উঠেছে।
জেলার মোহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়ন পষিদের চেয়ারম্যান মিজান শিকদার ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মেজবাউল হোসেন হামিদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। তবে তারা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আতর আলী ও সহ-সভাপতি ইমান উদ্দিন অভিযোগ করেন, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, দরিদ্রদের জন্য সরকারি ঘর বরাদ্দ প্রভৃতি কাজে মেজবাউল হোসেন হামিদ ১৫ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা করে ঘুষ নেন। আর ঘুষের ভাগ নেন চেয়ারম্যান মিজান শিকদার।
মেজবাউল হোসেন হামিদের বিরুদ্ধে লিখিত আভিযোগ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন মোহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, অভিযোগটি তারা তদন্ত করে দেখছেন। তবে চেয়ারম্যান ও সদস্য দুইজনই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
চেয়ারম্যান মিজান শিকদার বলেন, হামিদের বিষয়টি ইউএনও সাহেব তদন্ত করছেন। আমি হামিদের কোনো অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়িত না। ঘুষের ভাগও নিইনি।
মেজবাউল হোসেন হামিদও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, সামনে নির্বাচন। এ কারণে কিছু মানুষ আমার রিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আমি কারও কাছ থেকে কোনো ঘুষ গ্রহণ করেনি। একটি মানুষও আমার সামনে এসে টাকা নেওয়ার কথা বলতে পারবেন না।
আরও পড়ুন-ফেসবুক ‘জনস্বাস্থ্যের জন্য বিপদ’ ডেকে আনছে
আরও পড়ুন-করোনায় আক্রান্ত নির্মাতা ছটকু আহমেদ
অপরদিকে তাদের বিরুদ্ধে এলাকায় একাধিকবার মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। জেলার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মাহবুবুর রহমান বলেন, যেকোনো বিষয়ে অনিয়ম পওয়া গেলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।