রাত পোহালে উপজেলা নির্বাচনের ভোট গ্রহন

0
79

স্টাফ রিপোর্টার

রাত পোহালেই খোকসা উপজেলা নির্বাচনের ভোট গ্রহন। কেন্দ্রে পৌচ্ছে গেছে ভোট গ্রহণের সকল সামগ্রী। কেন্দ্র গুলোত বুথ নির্মান করা হয়েছে। মাঠে রয়েছে পুলিশসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট।

আজ বুধবার প্রথম ধাপে খোকসা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহন। উপজেলায় মোট ভোটার রয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৯৫৩ জন। যার মধ্যে ৫৭ হাজার ৩২০ জন পুরুষ এবং ৫৬ হাজার ৬৩৩ জন নারী।

পুলিশের হিসাব মতে, উপজেলার ৫০টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৩২টিই ঝুঁকি পূর্ণ কেন্দ্রের তালিকায় রয়েছে। আইন শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ টহল বাড়ানো হয়েছে কয়েক গুন। এ ছাড়া একাধিক ম্যাজিস্ট্রেটের অধিনে স্টাইকিং ফোর্স হিসেবে বিজিবি ও অন্যান বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে।
জানা গেছে, এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্ব›দ্বীতা করছেন। এদের মধ্যে তিনজন আওযামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী রয়েছেন। দ্বিধাবিভক্ত বিএনপি নেতারা বিচ্ছিন্ন ভাবে পক্ষ নেওয়ায় আওয়ামী লীগের এই তিন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে মূলত প্রতিদ্ব›দ্বীতার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তবে রাজনৈদিক বিশ্লেষকরা বলছেন, শেষ পর্যন্ত দ্বি-মূখি নির্বাচন হতে পারে।
প্রায় মাস খানেক আগে থেকে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের জয়-পরাজয় নিয়ে নানা সমীকরণ শুরু হয়। নির্বাচনী মাঠের ভোটারদের সচেতনতার প্রতিফলন ভোটের মাধ্যমে ঘটতে যাচ্ছে। প্রতীক পাওয়া প্রর্থীর সংখ্যা ৬ জন ছিলেন। তবে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রচার প্রচারণায় ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল আখতার মোটর সাইকেল, সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুর রহিম খান দোয়াত কলম ও যুগ্ন সম্পাদক আল মাসুম মোর্শেদ ঘোড়া প্রতীক, সালেহা বেগম নাছিমা আনারস প্রতীক নিয়ে মাঠ দাপিয়েছেন। এ ছাড়া আট জন ভাইস চেয়ারম্যান ও তিনজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর রয়েছেন।

রহিম উদ্দিন খান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সদর উদ্দিন খানের ভাই। ডামি চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন তার ছেলে শাওন মাহামুদ খান। তিনি প্রার্থী হলেও বাবার পক্ষে মাঠে ভোট করেছেন।
উচ্চ আদালতের স্থগিত আদেশে বাদ পরা চেয়ারম্যান প্রার্থী ওহিদুল ইসলামের স্ত্রী সালেহা বেগম নাছিমা নিজের আনারস প্রতীক নিয়ে প্রচারণায় ছিলেন। শেষ অবদি এই প্রার্থীর হয়ে ভোট করছেন তারই দেবর ডামি প্রার্থী সাইফুল ইসলাম।

খোকসা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা আননুর যায়েদ নির্বাচনকে ঝুকি পূর্ণই দেখছেন। তবে ঝুকি মুক্ত রাখতে তরাও ব্যাপক প্রস্তুতির নিয়েছেন। কয়েক সপ্তাহ আগে থেকে সবরকম অপৃতিকর ঘটনা এড়াতে জেলা থেকে পর্যাপ্ত ফোর্স ও অফিসার আনা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ একাধিক টিম দায়েত্বে থাকছে।

নির্বাচন অবাদ সুষ্ট করতে পুলিশ ও প্রশাসন সব ব্যবস্থা নিয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন। র্নিাচনের আগেও যেমন মাঠের পরিস্থিতি স্বভাবিক ছিল, পরেও পরিস্থিতি স্বভাবিক রাখার জন্য সব ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছে।