রাত পোহালে সোমবার খোকসা পৌরসভার ভোট

0
156
khoksa pu--DROHO-27-P1

স্টাফ রিপোর্টার

রাত পোহালেই সোমবার খোকসা পৌরসভা ৪র্থ নির্বাচনের ভোট গ্রহন। কেন্দ্র গুলোতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পোঁছে গেছে। ঝুকিপূর্ণ হিসাবে চিহ্নিত ৬ টি ভোট কেন্দ্রসহ পৌরা এলাকায় নিরাপত্তার জন্য ব্যপক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

মেয়র পদে আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কা প্রতিকের প্রার্থী রয়েছেন বর্তমান মেয়র তারিকুল ইসলাম এ পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী নাফিজ আহমেদ রাজু। এ ছাড়া ৯টি ওয়ার্ডের ৩১ জন কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ৩টি ওয়ার্ডে ১০ জন মহিলা প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

শনিবার মধ্যরাতে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শেষ হওয়ার পর থেকে গোটা পৌর এলাকায় বিজিবি, পুলিশসহ বিভিন্ন এজেন্সির নিরাপত্তা টহল জোরদার করা হয়েছে। রবিবার সকাল থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা সাথে ভোট কেন্দ্র গুলোতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পৌচ্ছে দেওয়া হয়।

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এ জেলার প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে খোকসা পৌর এলাকায়। তাই ২৬ ডিসেম্বর ৯টি কেন্দ্রে ১৮টি ইভিএম মেশিনে দিয়ে ভোটারদের অবহিত করতে মগ ভোট অনুষ্ঠিত হয়। খোকসা পৌরসভা প্রায় ১৪ হাজার ৯ শত ৩২ জন ভোটার রয়েছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭ হাজার ৪৩৭ জন ও মহিলা ভোটার সংখ্যা ৭ হাজার ৪৮৬ জন ।

এ বারে প্রার্থীদের জয় পরাজয় নিয়ে চায়ের কাপে ঝড় উঠতে দেখা যায়নি। তবে শেষ সময়ে ভোটের উৎসব সৃষ্টির চেষ্টা করেন কাউন্সিলর প্রার্থীদের কর্মী সমর্থকরা। ভোট কেন্দ্র গুলোর আশে পাশে পোষ্টারে পোষ্টারে ছেয়ে ফেলা হয়েছে।

ইভিএম এর মগ ভোটে খুব সামান্য সংখ্যক ভোটার উপস্থিত হলেও তারা প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ভোট পদ্ধতিটা সহজ বলে মন্তব্য করেছেন। এ পদ্ধতিতে যে কেউ ভোট দিতে পারবেন। মগ ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়ে তারা খুশি হয়েছেন।

রিটানিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার মুহম্মদ আবু আনছার তার প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেন, আধুনিক পদ্ধতির ভোটিং সিস্টেমের মাধ্যমে কোন প্রকার কারচুপি করা অসম্ভব। তিনি মগ ভোট কেন্দ্র গুলো ঘুরে মানুষের মধ্যে সারা পেয়েছেন বলেও জানান।

খোকসা থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, সব কেন্দ্র একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট থাকছেন। এ ছাড়া ঝুকিপূর্ন কেন্দ্র গুলোতে অতিরিক্ত স্টাইকিং ফোস থাকবে। র‌্যাব, বিজিবি ও পুলিশের সার্বক্ষনিক টহল থাকছে। কেন্দ্র গুলোতে তল্লাসীর ব্যবস্থা থাকবে। পৌর নির্বাচনকে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ করতে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ভোট শুরুর আগে ও পরে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয়ে ঢেকে দেওয়া হবে।