শৈলকুপা প্রতিনিধি
ঝিনাইদহের শৈলকুপার আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় দুই পক্ষের সমর্থকদের ৪০টি বাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার সকালে উপজেলার ১২নং নিত্যানন্দনপুর ইউনিয়নের শেখরা গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কাশেম আলী, পাতাহার, আজিজুল ইসলাম, শহিদুল, ইসলাম, ফরিদুল ইসলাম, তুহিন হোসেন, টাকু মিয়া শহীদ, সবুজ হোসেন, মিজানুর ও বাবুল কে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দুই চেয়ারম্যানের লোকদের মধ্যে হামলা পাল্টা হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সংঘর্ষকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে দুই রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিপে করে। পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মফিজুল ইসলাম সহ চারজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন ধরে নিত্যানন্দনপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মফিজুল ইসলাম এবং সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক বিশ্বাসের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলছে। রবিবার বিকালে স্থানীয় শেখরা বাজারে ফারুকের সমর্থক মাখন নামের এক ব্যক্তি হামলার শিকার হন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার সকালে উভয় পরে সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শেখরা গ্রামে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে উভয় পরে অন্তত ২০ জন আহত হন।
আরো পড়ুন – গ্রীষ্মের ফুলকপির গ্রাম খেমিরদিয়ার
সংঘর্ষের চলাকালে হিল্লোল বিশ্বাস, বিল্লাল বিশ্বাস, আয়ুব আলী, মন্টু শেখ, তোজাম শেখ, ইউনুচ শেখ, মোজাম শেখ, রাজ্জাক বিশ্বাস, পিকুল মিয়া, পাতাহার হোসেন, ফরিদুল তুহিন, হবিবুর শেখ, সাইফুল ইসলাম, রুহুল শেখ, মনিরুল শেখ, কালাম হোসেন, শাহীন সাহাদৎ ও শওকতের বাড়ি সহ প্রায় ৪০টি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, মফিজুলের সমর্থকদের সঙ্গে ফারুক বিশ্বাসের সমর্থকদের এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশ সংঘর্ষকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ২ রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিপে করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থল থেকে ইউপি চেয়ারম্যান মফিজুল সহ চার জনকে থানায় নিয়ে আসা হয়।