ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
শাহাদত মন্ডল নিজেই শারীরিক প্রতিবন্ধি, সাথে রয়েছেন বুদ্ধি প্রতিবন্ধি ছেলেসহ তার দুই খানা। বয়সের ভারে নিজে কাজ করতে পারেন না। ঝুড়ি বুনিয়ে বিক্রি করেন। তাদের মাথা গোজার এক চিলতে ঘরটি কবিতার আসমানিদের হার মানিয়েছে। রোদ বৃষ্টি তারের ঘরেরে মেঝেতে লুট-পুটি খেলে যায়।
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুু উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামে এই প্রতিবন্ধি পরিবারের বসবাস। সংসারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি শাহাদত মন্ডল। সে নিজেও শারীরিক প্রতিবন্ধি। এক সময় রিকসা ভ্যান চালাতেন। এখন আর কাজ করতে পারেন না। খেয়ে না খেয়ে তাদের সংসার চলে। সামান্য বৃষ্টি হলেই সারারাত বসে কাটাতে হয় তাদের।
জানা গেছে, শাহাদত মন্ডল নিজে ও ছেলে শহিদুল ইসলাম তার খালা হাসিরন নেছা এবং কুলসুম সবাই প্রতিবন্ধি। তাদের মধ্যে একজন শারীরিক ও তিনজন বুদ্ধি প্রতিবন্ধি।
শাহাদত মন্ডল জানান, পায়ের সমস্যায় তিনি নিজে ঠিকমত চলতে পারেন না। নিরুপাই হয়ে পঙ্গু পা নিয়ে ভ্যানগাড়ী চালিয়ে সংসার চালাতেন। বয়সের ভারে তাও পারছেন না। এখন ঝুড়ি বুনিয়ে সংসার চালাতে হয়। ঝুড়ি বিক্রি না হলে তাদর অনাহারে দিন কাটে।
তিনি বলেন, প্রতিদিন ঝুড়ি বুনিয়ে বিক্রি করে দুই শত টাকা আয় করেন। যা দিয়ে ৫ জনের সংসার চলে না। ছেলে ও অন্যদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে সব হারিয়েছেন। এখন সম্বল মাথা গোজার জমি টুকু। তাতে ঘর তোলার সামথ্য নেই। তিনি শুনেছেন প্রধানমন্ত্রী অসহায় মানুষের বাড়ী তৈরী করে দিচ্ছেন। সে ঘর পাওয়ার জন্য খুড়িয়ে খুড়িয়ে কয়েক জন নেতার কাছে গিয়েছিলেন, সবাই বলেছিল ঘর সে পাবে কিন্তু তার ভাগ্যে ঘর জোঠেনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা সৈয়দা নাফিস সুলতানা বলেন, ঘটনাটি আসলেই মর্মান্তিক। একই পরিবারে চারজন প্রতিবন্ধি এটা আমার জানা ছিল না। তিনি বলেন, এই পরবিারের কথা কেও তাকে বলেনি। তিনি খোঁজ নিয়ে ব্যাবস্থা নিবেন বলে জানান।