ভেড়ামারা প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় একটি রেস্টুরেন্টে ঢুকে ছাত্রদলের ৭ নেতা-কর্মীর উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ আহত নেতাকর্মীদের পুলিশ আটক করেছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ভেড়ামারা শহরের ধোয়া রেস্টুরেন্টে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত ছাত্রদল নেতাকর্মীরা জানান, শুক্রবার বিকালে কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনের বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লার ছেলে আসিফ রেজা শিশির মোল্লা (২৬) কয়েকজন বন্ধু নিয়ে ভেড়ামারা শহরের ওই রেস্টুরেন্টে খেতে যান। একই সময় উপজেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে শোকাবহ আগষ্ট নিয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের পূর্ব নির্ধারিত আলোচনা সভা চলছিল। শহরের ওই রেস্টুরেন্টে দৌলতপুর উপজেলা ছাত্রদলের নেতাকর্মীদর অবস্থানের কথা জানতে পেরে ছাত্রলীগের কর্মীরা সেখানে হামলা চালায়। হামলায় আহত ছাত্রদলের ৭ নেতাকর্মী স্থানীয়রা উদ্ধার করে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। খবর পেয়ে ভেড়ামারা থানা পুলিশ আহত ৭ ছাত্রদল নেতা কর্মীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
হামলায় আহতরা হলেন, আসিফ রেজা শিশির মোল্লা (২৬) তপন আলী (২৮), রোকন আলী (২৭), মাসুদজ্জামান রুবেল (২৮), আমির হামজা মিঠু শেখ(২৮) শামিম রেজা (২৭) ও খালিদ বিন শহীদ (২৮)। এদের প্রত্যেকের বাড়ি দৌলতপুর উপজেলার বিভিন্নস্থানে বলে জানা গেছে।
ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মজিবুর রহমান দাবি করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা শোকসভায় আগত ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় উত্তেজিত জনতা তাদের মারধর করে আটকে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ তাদেরকে হেফাজতে নেয়। আহত ছাত্রদল নেতাকর্মীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এবং আটক করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরো পড়ুন – কুষ্টিয়ায় আন্ত:নগর ট্রেনে পাখর ছুঁড়ে যুবক কারাগারে
কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনের সাবেক বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য ও কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা দাবি করেন তার ছেলেসহ বন্ধুরা মিলে ভেড়ামারার একটি রেস্টুরেন্টে খেতে যায়। এসময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অতর্কিতভাবে তাদের উপর হামলা চালায়। হামলায় তার ছেলেসহ ৭ ছাত্রদল নেতা কর্মী গুরুতর আহত হয়েছে।
কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান অনিক জানান, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি ওই রেস্তোরাঁয় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি ও মারা মারির ঘটনা ঘটেছে।