একটি হত্যা অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেলেন ওসি প্রদীপ

0
113
ওসি প্রদীপ-ফাইল ছবি

দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক

বছর তিনেক আগে কক্সবাজারের মহেশখালীতে কথিত বন্দুকযুদ্ধে একটি মৃত্যুর ঘটনায় টেকনাফের সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি খারিজ করে দিয়েছে আদালত।

মহেশখালী আমলী আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দিন বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটায় এই আদেশ প্রদান করেন বলে বাদীপক্ষের আইনজীবী হামিদুল হক জানিয়েছেন।

বছর তিনেক আগে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মহেশখালীর হোয়ানক ইউনিয়নের পূর্ব মাঝের পাড়ার আব্দুস সাত্তারকে হত্যা করা হয় বলে তার স্ত্রী হামিদা আক্তার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।

আইনজীবী হামিদুল বলেন, আদালত অভিযোগটি খারিজ দিলেও এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অজ্ঞাত আসামিদের নামে পুলিশের দায়ের মামলাটি সিআইডির এএসপি পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে দিয়ে তদন্তের আদেশ দিয়েছে।

হামিদা তার অভিযোগে বলেন, ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ৭টার দিকে হোয়ানক ইউনিয়নের লম্বাশিয়া পাহাড়ি এলাকায় দুই জলদস্যুর মধ্যে কথিত বন্দুকযুদ্ধে আব্দুস সাত্তারকে হত্যা হয়। এ হত্যাকা-ে পুলিশকে সহায়তা করে ফেরদৌস বাহিনী নামের একটি ‘জলদস্যূ বাহিনী। এ ঘটনায় ওই সময় থানায় পুলিশ মামলা নেয়নি।

তবে এ বিষয়ে বাদীর আইনজীবী হামিদুল হক বলেন, সে সময় থানায় মামলা না নেওয়ার কারণে ওই বছরের জুলাই মাসে স্বজনরা উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করেন। এ নিয়ে পিটিশনটি ‘ট্রিট ফর অ্যাফায়ার’ হিসেবে গণ্য করতে আদেশ দেয় আদালত।

সেই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে নিহতের স্বজনরা ২০১৭ সালের ১৭ জুলাই হত্যা মামলা হিসেবে নথিভূক্ত করতে কক্সবাজারের পুলিশ সুপারকে লিখিত দরখাস্ত করে। কিন্তু পুলিশ আবেদনটি আমলে নেয়নি।

তিনি আরও বলেন, পরে উচ্চ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আপিল করে এবং তা খারিজ হয়ে যায়। এতে বাদীপক্ষকে নতুন আরেকটি রিট পিটিশন দেওয়ার জন্যও আদালত নির্দেশনা দেয়।
এছাড়া বুধবার মহেশখালীর একই আদালতে নিহত আব্দুস সাত্তারের স্ত্রী হামিদা আক্তার একই ঘটনায় নতুন করে আরেকটি অভিযোগ দায়ের করলে বিচারক বৃহস্পতিবার আদেশের দিন ঠিক করেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী হামিদুল হক।

তিনি বলেন, যেহেতু ঘটনাটি নিয়ে উচ্চ আদালতে বাদীর দায়ের রিট পিটিশনটি এখনও বিচারধীন রয়েছে, সেহেতু বিচারক নতুন করে দায়ের অভিযোগটি খারিজ করে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে ঘটনাটি নিয়ে বাদীকে উচ্চ আদালতে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।