কবিরাজের গরম পানিতে নবম শ্রেণির ছাত্রীর শরীর ঝলসে গেলো

0
101

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

কবিরাজি চিকিৎসার নামে নবম শ্রেণির ছাত্রীর শরীরের গরম পানি ঢেলে তার শরীরের ২৫ শতাংশ ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বুধবার দুপুরে হরিণাকুন্ডু উপজেলার শুড়া গ্রামে কথিত কবিরাজ সৈয়দ আলীর বাড়িতে ছাত্রীর উপর থেকে জিনের দৃষ্টি সরানোর নামে অপচিকিৎসা করার সময় ছাত্রীর শরীর ঝলসে যায়। এ ঘটনায় ছাত্রীর পরিবার হরিণাকুন্ডু ণিখিত অভিযোগ করেছেন।

দগ্ধ আয়েশা খাতুন চুয়াডাঙ্গার কাউন্সিল পাড়ার আরিফুল ইসলামের মেয়ে।

পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, বুধবার চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আয়েশা খাতুনকে কবিরাজি চিকিৎসার জন্য শুড়া গ্রামের কথিত কবিরাজ সৈয়দ আলীর কাছে আনা হয়। কবিরাজ প্রথমে ঠান্ডা পানি দিয়ে ছাত্রীর ঝাড়ফুক করতে থাকে। এতে কাজ না হলে গরম পানি শরীরে ওই ছাত্রীর শরীরে ঢেলে দেয়। ছাত্রীর বাবা এ ঘটনার প্রতিবাদ করেন। কিন্তু তাদের মুখে রাসায়নিক ছিটিয়ে দেওয়া হয়। এসময় তারা অজ্ঞান হয়ে যায়। কবিরাজ ও তার স্ত্রীর ছাত্রীর উপর অমানষিক নির্যাতন চালায়। এক পর্যায়ে স্থানীয়রা দগ্ধ স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে প্রথমে হরিণাকুন্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে দগ্ধ স্কুল ছাত্রীকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

দগ্ধ স্কুল ছাত্রী আয়শার বাবা আরিফুল ইসলাম, অপচিকিৎসার জন্য দায়ী কবিরাজ সৈয়দ আলীর বিচারের দাবি করেন।

কবিরাজ সৈয়দ আলীর বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোন ফোন রিং করা হয়। কিন্তু ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

হরিণাকুন্ডু থানার ওসি আক্তারুজ্জামান লিটন জানান, থানায় লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। কবিরাজ আত্মগোপন করেছেন।