কাঙ্গাল হরিনাথের ছাপা খানার মুদ্রণ যন্ত্রটি হস্তান্তরের চুক্তি সম্পন্ন

0
131
ঐতিহাসিক এমএন প্রেসের মুদ্রণ যন্ত্র।

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

গ্রামীন সাংবাদিকতার পথিকৃৎ কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদারের ব্যবহৃত ঐতিহাসিক এম এন প্রেসের মুদ্রন যন্ত্রটি জাতীয় জাদুঘর কর্তৃপরে কাছে হস্তান্তর চুক্তির স্বাক্ষর সম্পন্ন হয়েছে। এ স্বর্ত হস্তান্তর চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন কাঙ্গাল হরিনাথের চতুর্থ বংশধরের স্ত্রী শ্রীমতি গীতা মজুমদার। আর জাতীয় জাদুঘরের পক্ষে স্বাক্ষর করেন জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক কামরুজ্জামান।

চুক্তি পত্রে ১ নাম্বার সারিতে সাক্ষর করেন কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদারের পঞ্চম বংশধর দীপঙ্কর মজুমদার এবং দ্বিতীয় সাক্ষী হিসেবে সাক্ষর করেন সাংবাদিক কে এম আর শাহীন। প্রেসটির মুদ্রণ যন্ত্রটি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বাস্তুভিটা থেকে কুমারখালীর কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদার স্মৃতিজাদুঘরে নিয়ে আসা হবে।

রবিবার মুঠোফোনে এ তথ্য জানিয়েছেন জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক কামরুজ্জামান। তিনি জানান, গত শনিবার বেলা ১১ টায় ঢাকা শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের নব নির্মিত বোর্ড সভাতে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তিনামা স্বাক্ষর করা হয়।

এম এন প্রেসের মুদ্রন যন্ত্রটি জাতীয় জাদুঘর কর্তৃপরে কাছে হস্তান্তর চুক্তির স্বার সম্পন্ন

এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় জাদুঘর পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ স ম আরেফিন সিদ্দিক।

তিনি আরো জানান, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রেসটির মুদ্রন যন্ত্রটি জাদুঘরে হস্তান্তর করা হবে। কিন্তু বিনিময়ের বিষয়টি তিনি পরিবার থেকে জেনে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদারের পঞ্চম বংশধর দীপঙ্কর মজুমদার জানান, ২০ লাখ টাকার চেক ও পরিবারের দুই সদস্যের চাকুরি দেওয়ার শর্তে তাঁর মা মুদ্রণ যন্ত্রটি হস্তান্তর চুক্তিনামায় স্বাক্ষর করেছেন। চেকটি তাঁরা হাতে পেয়েছেন। এই বিনিময়ে তিনি খুব খুশি।

জানতে চাইলে চুক্তিনামার দ্বিতীয় স্বাক্ষী সাংবাদিক কে এম আর শাহীন বলেন, দু’পক্ষের সমন্বয়হীনতার অভাবে দীর্ঘদিন ঝুলে থাকা কাজটি সম্পন্ন হয়েছে। ২০ লাখ টাকা ও বংশধরদের দুইজনের চাকুরির বিনিময়ে ঐতিহাসিক চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করতে পেরে তিনি গর্বিত।

কুমারখালী কাঙ্গাল হরিনাথ স্মৃতি জাদুঘরের অনুসন্ধান কর্মকর্তা ওবাইদুল্লাহ বলেন, ২০১৭ সালে স্মৃতিজাদুঘরটি চালু হলেও প্রেসের মুদ্রণ যন্ত্রটি এখনো কাঙ্গাল হরিনাথের বাস্তুভিটায়। দর্শনার্থীরা এসেই আগে প্রেসটির মুদ্রণ যন্ত্রটি দেখতে চান।