কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রশাসনিক ভবনের তিনতলা থেকে অফিস সহায়ক মনিরুল ইসলামের (৪০) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার রাত সোয়া ৯ টার দিকে পুলিশ তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত ব্যক্তি উপজেলার বাঁশগ্রাম আলাউদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অফিস সহায়ক ও উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের ইছাখালী গ্রামের মৃত নিয়াত আলীর ছেলে।
পুলিশ ও কলেজ কর্তৃপ জানায়, সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে অন্যান্য সহকর্মীদের সাথে কলেজ ত্যাগ করেন মনিরুল। কিন্তু কলেজ শেষে তিনি বাড়িতে না যাওয়ায় পরিবারের সদস্যরা তাঁকে খোঁজাখুজি শুরু করে। এক পর্যায়ে তাঁর ছেলে কলেজের মালি আইয়ুব আলী অপর এক পিয়ন রমজান আলীকে নিয়ে কলেজে খোঁজাখুজি শুরু করেন। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে কলেজের প্রশাসনিক ভবনে এসে দেখেন ভিতর থেকে কেচিগেইটে তালা ঝুলানো। পরে তালা খুলে ভিতরের খোঁজাখুজির করেন এবং তাঁর মুঠোফোনে কল দেওয়া হয়। এ সময় মুঠো ফোনের রিংটন বেজে উঠলে ভবনের তিনতলায় তাকে গলায় রশি পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
পরে পুলিশ ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যকে খবর দেওয়া হলে পুলিশ রাত সোয়া ৯ টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
কলেজের মালি আইয়ুব আলী ও অপর পিয়ন রমজান আলী জানান, বাদ মাগরিব মনিরুলের ছেলে বায়োজিদ জিম আমাদের সাথে করে তার পিতাকে খুঁজতে কলেজে আসে। এসময় প্রশাসনিক ভবনে এসে দেখি ভিতর থেকে তালা দেওয়া। তালা খুলে আমরা ভিতরে ঢুকে খোঁজাখুজি করি। পরে জিম তাঁর (মনিরুল) ফোনে কল দেয়। রিংটন বেজে উঠলে জিম তিনতলায় গিয়ে চিৎকার করে উঠে। আমরা দুজন ছুটে গিয়ে রশির সাথে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখি।
নিহত ব্যক্তির স্ত্রীর বড় ভাই আকরাম হোসেন বলেন, সন্ধায় বোনের ছেলে ফোন দিয়ে জানায় বাবাকে পাওয়া যাচ্ছেনা। এরপর সবাই মিলে স্বজনদের বাড়িতে খোঁজাখুজি করি। পরে সন্ধ্যায় জানতে পারি কলেজে মরদেহ ঝুলছে।
বাঁশগ্রাম আলাউদ্দিন আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্য (ভারপ্রাপ্ত) সাজিদুল ইসলাম বলেন, দুপুরে সবাই একসাথে কলেজ ত্যাগ করি। পরে সন্ধায় মুঠোফোনে জানতে পারি তিনতলায় মনিরুলের মরদেহ ঝুলছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
আরো পড়ুন – সর্বগ্রাসী দুর্নীতি ও নৈতিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে স্মারকলিপি প্রদান
ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, খবর পেয়ে কলেজের তৃতীয় তলা থেকে অফিস সহায়কের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।