কুমারখালীতে তরুণীর মাথায় পিস্তল ঠেকানোর ঘটনায় আটক এক

0
91
আটক ফারুক

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে মাকে বেঁধে রেখে তরুণীর মাথায় আগেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে বিয়ের কাবিননামায় সই করানোর ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। এ মামলার ৮ নম্বর আসামী ফারুক (৪৩) কে পুলিশ আটক করেছে।

বুধবার রাতে কুমারখালী থানায় ওই তরুণীর মা ঘটনার মূলহুতা তিতাসকে প্রধান আসামী করে ১০ জনের নামে মামলা করেন। এছাড়াও এ মামলায় আরো ৮- ১০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। মামলা নম্বর ১।

কুমারখালী থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, বাড়িতে প্রবেশ করে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে তরুণীকে কাবিননামায় সই করার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগী ওই তরুণীর মা বাদী হয়ে বুধবার মামলা দায়ের করেছেন। মামলার আসামী ফারুক নামে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

গ্রেফতার আসামি ফারুক উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের পান্টি গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে। মামলার প্রধান আসামি গোলাম দস্তগীর তিতাস (৪৫) পান্টি এলাকার মৃত ইব্রাহিম বিশ্বাসের নাতি এবং তার বাড়ি বরিশাল জেলায়। আর ওই তরুণী এ বছর স্থানীয় একটি কলেজ থেকে স্নাতক (সম্মান) সম্পন্ন করেছেন।

পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় ওয়াইফাই ব্যবসায়ী রোমান ও লাহোরী গত মঙ্গলবার রাতে তিতাসসহ বেশ কয়েকজনকে নিয়ে পাকা ও দেওয়ালে ঘেরা ওই তরুণীর বাড়ি প্রবেশ করে। এসময় তাঁদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র, দা, ডাসা, দড়ি ছিল। এরপর তরুণীর মা ও বাড়িতে থাকা ভাড়াটিয়াদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এবং তরণীর মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে কাবিননামায় সই করে নিয়ে চলে যায়।

আরো পড়ুন – ঝিনাইদহে পরীক্ষার খাতা চুরির তদন্ত সিআইডিতে

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই তরুণীর মা গত বুধবার বিকালে কুমারখালী থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় বুধবার রাতেই থানায় মামলা রুজু হয়। মামলা দায়েরের পর রাতেই মামলার ৮ নং আসামি ফারুককে গ্রেফতার করা হয়।

এ বিষয়ে মামলা বাদী ওই তরুণীর মা বলেন, তিতাস স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনী ভাড়া করে আমার বাড়িতে জোরপূর্বক প্রবেশ করে তাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে বাড়ির সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এবং মেয়ের মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে কাবিননামায় সই করে নিয়ে চলে যায়। থানায় মামলা করেছি। আসামীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

ভুুক্তভোগী ওই তরুণী জানান, প্রায় ২০১৬ সাল থেকে তিতাস আমাকে বিয়ের কথা বলে আসছে। মাঝেমাঝেই বিয়ের প্রস্তাব দেয়। মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এসে বিয়ের কথা বলে। আমি রাজি না হওয়ায় মাকে বেঁধে রেখে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। একপর্যায়ে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি দেয় এবং কাবিননামায় সই করিয়ে নেয়।