কুমারখালীর পশুহাট গুলোতে কাঙ্খিত বেচা-কেনা নেই

0
116

কুমারখালী প্রতিনিধি

মাত্র ছয়দিন পর কোরবানির ঈদ। কিন্তু কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পশু হাটগুলোতে কোরবানির পশু বেচা-কেনা জমে ওঠেনি। হতাশায় ভুগছেন গরুর খামারীরা।

প্রাণী সম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার একটি পৌরসভা সহ ১১ টি ইউনিয়নে এবছর কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে প্রায় ৩ হাজার ৭৬৭ টি খামারে মোট ২৫ হাজার ৬৯৯ টি হৃদপুষ্টকরন পশু প্রস্তুত করেছেন। এর মধ্যে ষাঁড় ১০ হাজার ৭৬৪ টি, বলদ ৬ হাজার ৫৩৪ টি, মহিষ ২১ টি, ছাগল ৮ হাজার ১৩৬ টি ও ভেড়া ২৪৪ টি। উপজেলায় পশুর চাহিদা রয়েছে প্রায় ১২ হাজার ৫৪৩ টি। এলাকার চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত পশু গুলো জেলার বাইরে বিক্রির কথা ছিল। কিন্ত গত দুই বছরের করোনা অতিমারির প্রভাব তার সাথে যোগ হয়েছে দেশের কয়েকটি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি অবনতি। ফলে ঢাকাসহ দেশের অন্যজেলা গুলোতে কোরবানির পশুর চাহিদা কমে বিপাকে পরেছে অনেক খামারি ও সাধারণ কৃষকরা।

খামারিরা জানান, করোনার কারণে দুই বছর পর এবার পশু বেচাকেনা বেশি হবে বলে প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু হাটে কোরবানির উপযুক্ত প্রচুর গরু-ছাগল আনা হয়েছে কিন্তু বেচা-কেনা নেই বললেই চলে। অন্যদিকে, তারা আরো বলেন, গো-খাদ্যসহ নিত্যপণ্যের দাম অনেক বেশি হওয়ায় এবার পশুপালনে খরচও বেড়েছে। তাই যে কোন মূল্যে পশু বিক্রি করতেই হবে।

ব্যবসায়ীরা জানান, এবার ছোট-বড় ও মাঝারি সব ধরণের পশুর দাম বেশি চাওয়া হচ্ছে। অনেক জেলাতে বন্যা হয়েছে। এ জন্য হাটগুলোতে পশুর চাহিদা আগের চেয়ে কম। তাই বেশি দামে পশু কিনে নিয়ে গিয়ে যাতায়াত খরচ সহ লাভে বিক্রি করা সম্ভব হবে না। বরং বড় ধরণের লোকসানের আশঙ্কা রয়েছে।

আরো পড়ুন – হরিণাকুন্ডুতে ক্লিনিকে নবজাতকের মৃত্যু

যদুবয়রা ইউনিয়নের জয়বাংলা বাজার পশুহাটের বাঁশের খুঁটিতে বাঁধা হয়েছিল কয়েক হাজার ছোট বড় ও মাঝারি আকৃতির গরু। হাটের ভিতরে জায়গা না পেয়ে অনেকেই আশে পাশের বাগানে অবস্থায় নেন। কিন্তু বিক্রি হয়ানি আশানুরুপ।

গরু ব্যবসায়ী জহুরুল হক বলেন, ৯ টা মাঝারি আকারের ষাঁড় গরু এনেছেন। কিন্তু দাম হচ্ছে না প্রত্যাশা অনুযায়ী। এখানে দেড় থেকে দুই মণ ওজনের ছোট গরু বেচা-কেনা চলছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নূরে আলম জানান, ঈদ সন্নিকটে। তাই জমজমাট হয়ে উঠেছে পশুহাটগুলো। খোঁজনিয়ে জেনেছি ছোট ও মাঝারি আকারের গরু বিক্রি হচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে অতীতের ন্যায় এবার বাহিরের ব্যাপারিরা আসেনি। তাই বড় গরু নিয়ে চিন্তিত আমরাও।