কুষ্টিয়ার মিঠুন হত্যাকাণ্ড, স্বামীর যাবজ্জীবন ও স্ত্রীর ১০ বছর দণ্ড

0
108
droho-22-p1
দণ্ডপ্রাপ্ত শিমুল ও সবুজ

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়া সদর থানার চায়ের দোকানদার মিঠুন হোসেন হত্যা মামলায় তার ভাতিজার যাবজ্জীবন এবং অপর দুই আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার বেলা ১২টায় কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ অরূপ কুমার গোস্বামী আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন, কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার ঢাকা ঝালুপাড়ার মওলা মন্ডলের ছেলে মোঃ শিমুল হোসেন (৩০)।
১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, যাবজ্জীবন দ-প্রাপ্ত আসামি শিমুল হোসেনের স্ত্রী সাথী বেগম (২৬) এবং একই এলাকার খয়বার আলী প্রামানিকের ছেলে সবুজ হোসেন (২৪)।
মামলার অন্য আসামি লিটন হোসেন, মনিরুল ইসলাম ও খয়বার আলী প্রামানিককে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী জানান, অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত নিহত মিঠুনের ভাতিজা শিমুল হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছর সাজার আদেশ দেয়।
এছাড়া সাথী বেগম ও সবুজ হোসেনকে ১০ বছরে করে কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে সাজার আদেশ দেন। সেই সাথে মামলার বাকি তিন আসামিকে খালাস দেয় বলে জানান পিপি।

২০১৮ সালের ১৩ আগস্ট রাত ৯টায় কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার ঢাকা ঝালুপাড়ায় এক চায়ের দোকান থেকে বাড়িতে ফেরার পথে মিঠুন হোসেনকে পূর্ব শত্রুতার জেরে তার ভাতিজা শিমুল পেছন থেকে ধারালো হাসুয়া দিয়ে কোপায়। এতে মিঠুনের নাড়িভুড়ি বেড়িয়ে যায়। গুরুতর আহত মিঠুনকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

এ ঘটনায় পরদিন ১৪ আগস্ট নিহত মিঠুনের স্ত্রী রিনা বেগম ছয়জনের নাম উল্লেখ করে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ২৫ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।