কুষ্টিয়ায় টাকার লোভে মাকে হত্যা

0
125
মা হত্যায় আটক ছেলে।

নিখোঁজের ৩৪ দিন পর বস্তাবন্দী মায়ের লাশ উদ্ধার

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ায় টাকার লোভে ছেলে তার গর্ভধারিণী মাকে বন্ধুদের সহায়তায় হত্যা করে লাশ মাটির নিচে পুঁতে রেখেছিল। শুধু তাই নয় হত্যার পর মা নিখোঁজ হয়েছে এ কথা বলে থানায় সাধারণ ডায়রী করে ঘাতক ছেলে।

হত্যাকান্ডের ৩৪ দিন পর মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ মাটির নিচে পুঁতে রাখা হতভাগ্য ওই মায়ের লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পুলিশ ছেলেসহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে।

হতভাগ্য নিহত মমতাজ বেগম (৫৫) মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ দক্ষিণ কাঠদহ এলাকার মৃত ফজল বিশ্বাসের স্ত্রী এবং পাঁচ সন্তানের জননী।

পুলিশ জানায়, গত ২১ জানুয়ারী মমতাজ বেগম নিখোঁজ হন। এই ঘটনায় নিহতের ছেলে মুন্না ২৫ জানুয়ারী মিরপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন।

মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা জানান, মমতাজ বেগম নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরীর সূত্র ধরে সোমবার নিহতের ছেলে মুন্নার বন্ধু একই এলাকার বাসিন্দা ইয়াসিনের ছেলে রাব্বি (২৭)কে গোয়েন্দা পুলিশ আটক করে। পরবর্তীতে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সকালে দক্ষিণ কাঠদহ এলাকা থেকে নিখোঁজ মমতাজের ছেলে মুন্নাকে আটক করে। একপর্যায়ে জিজ্ঞাসাবাদে মুন্না ৩৪ দিন পূর্বে তার মাকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে বস্তাবন্দী অবস্থায় লাশ বাড়ির নলকূপের পাশে মাটির নিচে পুঁতে রেখেছে বলে স্বীকার করে। পরে পুলিশ তার দেওয়া তথ্য মতে মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাস্থল থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় নিখোঁজ মমতাজ বেগমের লাশ উদ্ধার করে।

পুলিশ এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহত মমতাজ বেগমের একমাত্র ছেলে মুন্না (৩০), দেবর কাদের (৫০) ও মুন্নার বন্ধু রাব্বীকে (৩০) গ্রেফতার করেছে।
স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি পোড়াদহ কাপড়ের হাটে একটি দোকান নিহত মমতাজ বেগম ২৫ লক্ষ টাকায় বিক্রি করেন। দোকান বিক্রয়ের ওই টাকা মমতাজ বেগম তার ৪ মেয়ে ফাহিমা, ফরিদা, সুরভী ও মুন্নি প্রত্যেককে সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা করে প্রদান করেন। মুন্না তার মাকে বোনদেরকে টাকা দিতে বাধা দেয়। কিন্তু মমতাজ বেগম ছেলে মুন্নার অনিচ্ছা সত্বেও মেয়েদেরকে চার লাখ করে টাকা দেন। এ কারণে মুন্না ক্ষুদ্ধ হয়ে চাচা কাদের, বন্ধু রাব্বী ও সুজনকে টাকা দিয়ে চার জন মিলে এ হত্যাকান্ড ঘটায়।

পোড়াদহ ইউপি চেয়ারম্যান মজনু জানান, নিহত মমতাজ বেগম তার ছেলে মুন্না ও ছেলের স্ত্রী সুমাইয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে একাধিকবার বিচার দাবি করেন।

নিহত মমতাজ বেগমের বড় জামাই সেকেন আলী জানান, আমার শ্বাশুড়ী গত ২১ জানুয়ারী নিখোঁজ হন। এরপর থেকেই মুন্না নানান নাটক করে।