কুষ্টিয়া সদরের পৌর এলাকায় কঠোর বিধিনিষেধ জারি

0
82

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ায় করোনা সংক্রমন উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় জেলা সদরের পৌর এলাকায় সাত দিনের কঠোর বিধি নিষেধ জারি করেছেন জেলা প্রশাসক।

গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত জেলায় করোনা সংক্রমণের হার ছিল ২৯.৭৫ শতাংশ। এ দিন জেলায় ২০৫ জনের নমুনা পরীায় ৬১ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এ পর্যন্ত জেলায় করোনায় মারা গেছেন ১২৭ জন। এদের মধ্যে জেলা সদরে ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (১১ জুন) রাত সাড়ে ৮ টায় কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে শহরের পৌরসভা এলাকায় ৭ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে এ সংক্রান্ত গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জেলা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির বৃহস্পতিবার (১০ জুন) অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১১ জুন মধ্যরাত হতে আগামী ১৮ জুন পর্যন্ত অধিক সংক্রমিত এলাকা বিবেচনায় পৌরসভাধীন এলাকায় সকল ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শপিংমল, দোকান, রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকবে। তবে কাঁচাবাজার ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান সকাল ৮ টা হতে দুপুর ২ টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখা যাবে। বিধিনিষেধ চলাকালীন সময়ে পৌরসভা এলাকায় সকল ধরনের যানচলাচল বন্ধ থাকবে, অতি জরুরী প্রয়োজন ব্যতীত (ঔষধ ও নিত্যয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন/সৎকার ইত্যাদি) কোনভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। তবে কার্ড প্রদর্শন সাপেে টিকা গ্রহনের জন্য যাতায়াত করা যাবে, সকল পর্যটনস্থল, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে, জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক (বিবাহত্তোর অনুষ্ঠান, জন্মদিন, পিকনিক, পার্টি ইত্যাদি), রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে, জরুরী প্রয়োজনে চলাচলকারী সকলকে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরিধান করতে হবে, শুধুমাত্র জরুরি সরকারি নির্মাণ কাজ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে চলমান থাকবে এবং এ সংক্রান্ত পণ্য পরিবহন বিধি-নিষেধের আওতা বহির্ভূত থাকবে, আইন-শৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা যেমন- কৃষি উপকরণ, খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্য সেবা, গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া), সরকারের রাজস্ব আদায়ের সাথে সম্পৃক্ত সকল দপ্তর/সংস্থাসমূহ জরুরি পরিষেবার আওতাভুক্ত হবে এবং তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতা বহির্ভূত থাকবে, পূর্বের ন্যায় শিল্প-কারখানাসমূহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু থাকবে। তবে, শ্রমিকদের স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় আনা-নেওয়া নিশ্চিত করতে হবে।