খেয়ে না খেয়ে দিন যাচ্ছে ইবির দোকানি-ভ্যানচালকদের

0
108

ইবি প্রতিবেদক

প্রতিদিন দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। অঘোষিত লকডাউন শিথিল করলেও শ্রমজীবী মানুষ স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরতে পারছেন না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্রে করে জীবিকার তাগিদে ছুটে আসা দোকানি ও রিকশা-ভ্যানচালকরা পরিবার পরিজন নিয়ে খেয়ে না খেয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) অর্ধশতাধিক খাবার হোটেল, চা, মুদি, ফটোকপি ব্যবসায়ী ও ভাসমান দোকানি রয়েছেন। এছাড়া প্রায় একশ ভ্যানচালক রয়েছেন। যাদের আয়-রোজগারের একমাত্র অবলম্বন এ ক্যাম্পাস। করোনার কারণে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। আর এ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ শ্রমজীবীরা পড়েছে দারুন দৈন্যতার মধ্যে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হল সংলগ্ন হোটেল ব্যবসায়ী বছির উদ্দীন বলেন, প্রায় দুই মাস ধরে বাড়িতে বসে আছেন। বড় ছেলের এক দোকান আছে, কিন্তু খুললেই পুলিশ এসে বন্ধ করে দেয়। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুইবার মাত্র ১ হাজার টাকা দিয়েছিল।

বাড়িতে গাভী আছে। তার দুধ বিক্রি করে কোনো রকম সংসার চলছে সাদ্দাম হল সংলগ্ন চায়ের দোকানি রুহুল হোসেনের।

কথা হয় ক্যাম্পাসের ভ্যানচালক আশিকুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, লকডাউন থাকায় এতোদিন শেখপাড়া বাজারেও ভ্যান চালাতে পারিনি। এখন রোজা থেকে সকাল বেলা মাঠের কাজে যাই। সেখান থেকে কিছু টাকা উপার্জন হচ্ছে। ক্যাম্পাস থেকে কোনো আর্থিক সহায়তা পাইনি।