খোকসায় কৃষকের পেয়ারা গাছ কেটে দিল জমির মালিক

0
95

স্টাফ রিপোর্টার

কুষ্টিয়ার খোকসায় এক কৃষকের ইজারা নেয়া (লিজকৃত) জমি থেকে প্রায় পৌনে একশো ধরন্ত পেয়ারা গাছ ও ৫ শতাধিক টমেটো গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া উঠেছে জমির মালিকের বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, বুধবার দুপুরে উপজেলার শোমসপুর ইউনিয়নের মল্লিক পাড়ার মাঠে শতশত কৃষকের সামনে এ গাছ কাটা ও ফসল তছরুপের নৃশংস ঘটনাটি ঘটে। এ সময় কৃষক আসাদুজ্জামান আসাদ তার জমিতে ছিলেন না। হামলাকারীরা কৃষকের প্রায় ৪ লাখ টাকার ফসল ও গাছ তছরুপ করেছে। ওই কৃষক শোমসপুর গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে।

ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের দাবি, মেহেদী হাসান জুয়েলের কাছ থেকে প্রতিবছর বছর ২০ হাজার টাকা ইজারায় ৫৬ শতাংশ জমি লিজ নিয়ে পেয়ারা ও সবজী ক্ষেত করেন। কিন্তু জমির মালিক কৃষকের সাথে কোন প্রকার আলোচনা ছাড়াই বুধবার দুপুর বেলায় তার পেয়ারার বাগানের গাছ কাটতে শুরু করে। এক পর্যায়ে তার স্ত্রী বাঁধা দিতে গেলে তাকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। তিনি মোবাইল ফোনে খবর পেয়ে পুলিশের দারস্ত হন। ততক্ষনে তার বাগান থেকে প্রায় ৮০টি পেয়ার গাছ ও সাড়ে ৫শ টমেটোর গাছ কেটে ফেলা হয়। গাছ গুলোর সাথে প্রচুর কাঁচা-পাকা ফল ছিল। যার আনুমানিক ক্ষতির পরিমান ৪ লাখ টাকা ছাড়িয়ে যাবে। এ ঘটনায় কৃষক মামলা করার জন্য থানায় গিয়েছেন।

শুক্রবার দুপুরে কৃষক আসাদুজ্জামান আসাদ অভিযোগ করে বলেন, ১৪ মাস আগে সে ও তার বন্ধু মেহেদী হাসান জুয়েল যৌথভাবে কৃষি খামার প্রকল্প শুরু করে। কিন্তু প্রথম মৌসুমে সবজী ক্ষেতে তাদের প্রায় ৫ লাখ টাকা লোকসান হয়। এক পর্যায়ে জমির মালিক জুয়েল তার সব জমি ফিরিয়ে নেয়। কিন্তু পেয়ারা বাগানের ৫৬ শতাংশ জমি বার্ষিক ইজারায় তার কাছে রয়ে যায়। এ বছর ফল দেখে জমির মালিক জুয়েলের মাথা খারাপ হয়ে যায়। ব্যবসায়ীক শক্রুতার কারনে জমির মালিক তার ইজারা দেওয়া জমি থেকে গাছ গুলো কেটে ফেলতে শুরু করে। সে একাধিক বার থানায় গিয়েছেন। প্রথমে মামলা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়ে ছিল। এখন আপোষ-রফা করে নিতে বলছে।

জমির মালিক জুয়েল বলেন, বন্ধু হিসেবে তার (আসাদ) কাছে জমি ইজারা দিয়ে তিনি বিপদে পরেছেন। দুই বছর ধরে সে ইজারার (লিজের) টাকা পরিশোধ করেনি। এ ছাড়া জমির অন্য মালিকরা কিছু জমি বিক্রি করে দিয়েছে। ফলে নতুন মালিকদের বুঝে দেওয়ার জন্য তিনি কিছু গাছ কেটে দিয়েছেন।

শোমসপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বদর উদ্দিন খান বলেন, যৌথ কৃষি প্রকল্প করতে গিয়ে কৃষক আসাদ প্রকৃতই ক্ষতিগ্রস্থ। এবার ধরন্ত পেয়ারা গাছ গুলো কেটে ফেলায় সে নতুন করে আরো প্রায় ৪ লাখ টাকার ক্ষতির মুখে পরেছে। ঘটনাটি তদন্ত করে সঠিক বিচার দাবি করেন তিনি।

থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন, কৃষক মামলা করতে চাইলে করবে। তবে ক্ষতিপুরন হিসেবে গত দুই বছর এবং সামনের তিন বছর মোট ৫ বছর কৃষক জমি চাষ করে খাবে এমন ভাবেই আপোষ হয়েছে।