খোকসায় নববধূর রহস্য জনক মৃত্যু

0
114

স্টাফ রিপোর্টার

মেহেদীর রং মুছার আগেই রহস্য জনক ভাবে নববধূ খাদিজা (১৮) এর জীবন প্রদীপ নিভে গেলো। স্বামীর পরিবারের দাবি বাথরুমে জীনে ওই নবধূকে হত্যা করেছে।

খোকসা উপজেলা সদরের থানা পাড়ার প্রবাসী পল্লীর সোহেল মিয়া ও পাপিয়া দম্পতির দত্তক পুত্র দশম শ্রেণির ছাত্র তৌহিদ মিয়ার নববধূ খাদিজা। রবিবার বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে নিজের বাসার বাথরুম থেকে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় খাদিজাকে উদ্ধার করা হয়। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নববধূকে মৃতবলে ঘোষনা করেন। এ ঘটনার পর হাসপাতালে মৃতদেহ ফেলে সোহেল মিয়া ও তার দত্তক পুত্র পালিয়ে যায়।

পরিবার সূত্রে জানানো হয়, নিহত নববধূ খাদিজা পাবনা জেলার ঈশ্বরদীর ইলিয়াস মজমাদারের মেয়ে। তিন মাস আগে পারিবারিক ভাবে তাদের বিয়ে হয়।

প্রতিবেশীদের সূত্রে জানা গেছে, কয়েক মাস আগে তৌহিদ তার এক সহপাঠিকে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ বিষয়টি চাপারেখে তিন মাস আগে পারিবারিক ভাবে খাদিজার সাথে বিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু স্বামী তৌহিদ তার আগের প্রেমিকার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলাছিল। এ নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রতিদিন ঝামেলা লেগেই থাকত। বাথরুম থেকে খাদিজার মৃতদেহ উদ্ধারের নাটক করা হচ্ছে।

নিহত নববধূর দত্তক শ্বাশুরী পাপিয়া খানম জানান, তার ছেলে ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। এ সময় খাদিজা বাথরুমে গোসল করতে ঢোকে। বিলম্ব দেখে তারা ডাকা-ডাকি করে কিন্তু ভেতর থেকে সারা না পেয়ে দরজা ভেঙ্গে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

তৌহিদ জানান, আগামী কাল সোমবার তাদের ঈশ্বরদী যাওয়া কথা ছিল। সারাদিন খাদিজা তার ঘরে শুয়েছিল। গোসেলে যাওয়া কথা বলে বেড়িয়ে যায়। পরে তাকে বাথরুম থেকে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

সোহেল মিয়া আত্ম গোপনে থেকে মোবাইল ফোনে এ প্রতিনিধিকে জানান, এটা খুব স্বাভাবিক ঘটনা। নিহত নববধূ তার ফুপাতো ভাইয়ের মেয়। মেয়েটির ঘারে জীনের আছোর ছিল। জীনেই তাকে হত্যা করে রেখে গেছে।

রাতে নিহত নববধূর বাবা ইলিয়াস মজমাদার জানান, তার মেয়ে খাদিজা ৮ম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় ৩ মাস আগে বিয়ে হয়। তার মেয়ের কোন রোগ ছিল না। বিকালে মেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে ফোনে জানানো হয়। তিনি এই হত্যাকান্ডের সুষ্ট তদন্ত ও বিচারের দাবি করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ সুস্মীতা সরকার জানান, নববধূকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্নের জন্য পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।