খোকসার ইউপি নির্বাচনে বিদ্রোহীদের জয়-জয়াকার

0
145
বিজয়ের পথে এগিয়ে জয়ন্তী হাজরার সকিব খান টিপু ও আমবাড়িয়ার আকমল হোসেন

স্টাফ রিপোর্টার

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার ৯ ইউনিয়নে শান্তিপুর্ন ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৯ ইউনিয়নের তিনটিতে নৌকা, বাঁকী ৫টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের জয়-জয়াকার। একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিজয়।

রবিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ৭৮ টি কেন্দ্রে বিরতিহীন ভোট গ্রহন চলে। উপজেলার ৯ ইউনিয়নের মধ্যে বেতবাড়িয়া ইউনিয়নের নৌকা প্রতিকের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল আকতার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। ফলে ৮ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এসব ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতিকের প্রার্থীদের সাথে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি করেছে মূলত আওয়ামী লীগে বিদ্রোহী প্রার্থীরা। নিজ দলের প্রার্থীদের সাথে ভোট যুদ্ধে লড়েছেন আমবাড়িয়া ইউনিয়নে চশমা প্রতিক নিয়ে আকমল হোসেন, জয়ন্তী হাজরা ইউনিয়নে আনারস প্রতিক নিয়ে সকিব খান টিপু, গোপগ্রাম ইউনিয়নে মোটর সাইকেল প্রতিকে মোতালেব হোসেন, জানিপুর ইউনিয়নে মজিবর রহমান মজিদ, শিশুলিয়া ইউনিয়নে আব্দুল কুদ্দুস। এ ছাড়া ওসমানপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী ওয়াহিদুল ইসলাম ডাব্ল স্থানীয় ভাবে পাওয়া ভোট ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন।

খোকসা ইউনয়নে আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকা প্রতিক নিয়ে আব্দুল মালেক ও শোমসপুর ইউনিয়নে নৌকা প্রতিক নিয়ে বদর উদ্দিন খান বেসরকারী ভাবে পাওয়া ফলাফলে এগিয়ে রয়েছেন। নৌকা প্রতিকে নির্বাচিতদের মধ্যে শুধু মাত্র শোমসপুর ইউনিয়নে বদর উদ্দিন খান সরাসরি ভোটে দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হয়েছেন। বেতবাড়িয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতিক পাওয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল আকতার তৃতীয় বার নির্বাচিত হয়েছেন। তবে তিনি দুই বার বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত হলেন।

নানা শঙ্কা আশঙ্কা মধ্যেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে গ্রামের ভোট কেন্দ্র গুলোতে ভোটার সংখ্যা বাড়তে থাকে। ভোট কেন্দ্র গুলোর পাশে ছোট ছোট দোকানিরা পসরা সাজিয়ে বসেছিল। তারা উৎসব মুখোর পরিবেশে ভোট দিতে পেরেছেন।

বৃদ্ধা মরিয়ম নেছা। চোখে দেখতে পান না, হাটতেও পারেন না। নাতনীর কোলে চেপে ওসমানপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে এসেছিলেন। তিনি বলেন, এবার টানা টানি ছিল না। নাতানিকে বলার সাথে সাথে ভোট হয়ে গেলো।

বয়বৃদ্ধ হাচেন আলী মন্ডল। ভোট দিয়ে নামাজে যাচ্ছিলেন। আমাদের এ প্রতিবেদকের সাথে কথা বলার সময় তিনি জানান, এক যুগে ৫ বার ভোট হয়েছে। তারা ভোট দিতে পারেনি। এবার ভোট দিয়ে শান্তিতে নামাজে যাচ্ছেন।