খোকসার পেঁয়াজ চাষীরা বীজ কিনে প্রতারিত

0
107
KHOKSA-DROHO-17-P5

স্টাফ রিপোর্টার

কুষ্টিয়ার খোকসার প্রায় অর্ধশত পেঁয়াজ চাষী বীজ (দানা) কিনে প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এ সব চাষীদের শতাধিক বিঘা জমি অনাবাদি থেকে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, খোকসা উপজেলার মালিগ্রাম, কমলাপুর, বেতবাড়িয়া, জাগলবা, নারানপুর গ্রামর প্রায় অর্ধশত পেঁয়াজ আবাদকারী চাষী জানিপুর স্কুলপাড়ার বীজ ব্যবসায়ী শহিদের কাছ থেকে চড়া দামে পেঁয়াজের বীজ (দানা) খরিদ করেন। প্রতাগত ভাবে তারা মাঠে বীজতলায় বীজ বপণ করেন। কিন্তু নির্দ্ধারিত সময় পার হওয়ার পরেও চারা আর গজাইনি। চারা উৎপাদন করতে না পারায় এসব কৃষকদের প্রায় ১শ বিঘা জমি অনাবাদি থাকার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বীজ কিনে প্রতারনার শিকার কৃষকরা প্রতিকারের আশায় ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিন কমলাপুর মাঠে গিয়ে দেখা যায় কৃষকদের বীজতলা গুলো ফাঁকা পরে আছে। দুই একটি বীজ তলায় সামান্য সংখ্যক বীজ উৎগমন হলেও সে চারা দিয়ে জমি আবাদ করা যাবেনা।

মাঠে বীজতলার পাশে দাঁড়িয়ে প্রতারনার শিকার কৃষক রবি জদ্দার, আমির শেখ, হিলাল শেখ, খাইরুল শেখ বলেন, বীজ ব্যবসায়ী শহিদ এর কাছ থেকে ৬ হাজার টাকা কেজি দরে পেঁযাজের বীজ বিক্রি করেন। প্রতারক শহিদ মিথ্যা বলে ৫০ জন কৃষকের কাছে প্রায় ৫ লাখ টাকার বীজ বিক্রি করে। কৃষকরা কেউ কেউ সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে বীজ কিনে ছিলেন। আবার কেউ মহাজনের কাছ থেকে দাদনের টাকা নিযে বীজ কিনে প্রতারনার শিকার হয়েছে। এ মৌসুমে এসব কৃষক এক বিঘা জমিতে আর পেঁয়াজ চাষ করতে পারবে না। তারা প্রতারক বীজ ব্যাবসায়ী শহিদের বিচার দাবি করেন।

প্রতারক বীজ ব্যবসায়ী শহিদের সাথে দেখা করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি।