খোকসার ২০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় শহীদ মিনার নাই

0
166
এবছর খোকসা ডিগ্রী কলেজ ক্যাম্পাসে শহীদ বেদীতে আর কেউ ই ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়নি।

অনেক শহীদ মিনারে কেউ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়নি

স্টাফ রিপোর্টার

কুষ্টিয়ার খোকসা ডিগ্রী কলেজে ছাত্র নেতাদের উদ্যোগে নির্মান করার প্রথম শহীদ মিনার টিতে এবারও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়নি। ২০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় শহীদ মিনার নাই। ৮৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার থাকলেও অধিকাংশ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে আসেনি কেউ।

মহান ভাষা শহীদদের স্মরণে বিদ্যালয় কেন্দ্রিক শহীদ মিনার বাধ্যতামূলক হলেও এ নিয়ম মানছেন না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা। উপজেলার ৩৬টি মাধ্যমিক, মাদ্রাসা ও কলেজের মধ্যে ২০টিও বেশী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নাই। প্রাচীন কালের মতো কলার গাছ দিয়ে শিমুলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার তৈরী করে সেখানে শ্রদ্ধা জানাত শিক্ষক ছাত্ররা। এবছর সেটাও হয়নি। মাদ্রাসা গুলোর একটিতেও শহীদ মিনার নেই।

খোকসা জানিপুর সরকারী মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শোমসপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাড়া উপজেলার ৮৫টি বিদ্যালয়ে বার্ষিক উন্নয়ন ফান্ড “স্লিপ” এর টাকা থেকে গতবছর শহীদ মিনার নির্মান করা হয়। কিন্তু এবছর হাতে গোনা দুই একটি বিদ্যালয় ছাড়া অধিকাংশ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে কেই ফুল দেয়নি। জানায়নি শ্রদ্ধা।

গণ অভ্যুথানের উত্তাল সময়ে ৬৯ সালে খোকসা জানিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে (বর্তমানে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়) থানার প্রথম শহীদ মিনারটি নির্মান করা হয়। স্বাধীনতা পরবর্তীতে সেটি পাকা করা হয়। কিন্তু আর সংস্কার হয়নি। বড়ই জিন্ন দশাগ্রস্থ্য অবস্থা এই মিনারটির। একসময় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হতো এই মিনারে। কিন্তু বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আর দুই একটি রাজনৈতিক দল এবাও পুস্প মাল্য দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে এটিতে।

আশির দশকে স্থানীয় ছাত্র নেতাদের উদ্যোগে খোকসা ডিগ্রী কলেজ ক্যাম্পাসে প্রথম শহীদ মিনার নির্মান করা হয়। এক পর্যায়ে দুর্বৃত্বরা শহীদ মিনার ভেঙে ফেলে। সংস্কার করার পর মিনারের কর্তৃত্ব চলে যায় কলেজ প্রশাসনের হাতে। ভাষা দিবস ছাড়া বিশেষ দিনে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হতো। গতবছর কলেজ ক্যাম্পাসে আরো একটি শহীদ মিনার নির্মান করে কর্তৃপক্ষ। এক বছর যেতে না যেতেই ছাত্র নেতাদের নির্মান করা শহীদ বেদীতে আর কেউ ই ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়নি।

খোকসা জানিপুর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যায়ের প্রধান শিক্ষক মহম্মদ আলী জানান, তার ১১ বছরের চাকুরী কালীন সময়ে দুই বার তিনি ঐতিহ্যের স্বাক্ষবহন কারী খোকসার প্রথম তৈরী শহীদ মিনারের সংস্কার করেছেন। তবে সরকারী ব্যয়ে এই শহীদ মিনারটি আধুনিকায়নের দাবি জানান।

খোকসা সরকারী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আনিসুজ্জামানের সাথে কথা বলার চেষ্টা কর হয়। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নাজমুল হকের সাথে মুঠো ফোনে খতা কালে তিনি জানান, যে প্রতিষ্ঠানেই জান সেখানে শহীদ মিনার না থাকলে বানানোর জন্য বলেন। তবে আর কিছুদিন আগে বিষয়টি মাথায় এলে তিনি ব্যবস্থা নিতেন বলে জানান।