খোকসায় প্রতিপক্ষের হামলায় একজন গুলিবিদ্ধ সহ আহত ৮

0
205
গুলিবিদ্ধ আহত সালিম

গভীর রাতে পাঁচটি বাড়ি ভাংচুর ও লুট

স্টাফ রিপোর্টার

কুষ্টিয়ার খোকসার গ্রামে আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে সৃষ্ট পূর্ব শক্রতার জের ধরে গভীর রাতে প্রতিপক্ষের লোকেরা ৫টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটতরাজ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় একজন গুলিবিদ্ধ সহ ৮ নারী পুরুষ আহত হয়েছে।

শনিবার দিনগত রাত ১২ টার দিকে উপজলার ওসমানপুর ইউনিয়নের ওসমানপুর ব্রিক ফিল্ডে বসবাসকারী ভুমিহীনদের বসত বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এ হামলার ঘটনাটি ঘটেছে ।

লুট ও ভাংচুরের শিকার ফারুকের একটি কক্ষ

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গভীর রাতে সবাই নিজ নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। এ সময় পাশের গ্রাম দেবিনগড় পশ্চিম পাড়ার একটি চায়ের দোকানে সালিম সহ অন্যরা কথাবার্তা বলছিলেন। হঠাৎ ৪০/৪৫ জন অস্ত্রধারী তাদের উপর অতর্কিতে বন্দুকের গুলি ছুড়তে থাকে। এ হামলায় সালিম (৩৫) গুলিবিদ্ধ আহত হয়। এ সময় হামলাকারীরা ব্রিক ফিল্ডে বসবাস কারী ফারুক, হেলাল, মতিন, চায়না ও আতির বাড়িতে হামলা করে ভাংচুর ও লুট তরাজ চালায়। ঘুমন্ত শিশু ও নারীরা হামলাকারীদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি। হামলায় ফারুক (৪৫), স্ত্রী রাহেলা (৩৬) ও তার শ্বাশুরী আলোয়া (৬০)সহ প্রায় ৮ নারী পুরুষ আহত হয়। তাদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিসহ তিন জনকে উপজোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তিকরা হয়েছে।

আহত ফারুকে মা বৃদ্ধা আমেনা জানান, রাতে গুলির শব্দে তার ঘুম ভেঙ্গে যায়। এর কিছু সময় পর সন্ত্রাসীরা তার বাড়িতে হামলা করে দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে তার ঘুমন্ত ছেলে বৌকে কুপায়। ছেলে ও ছেলের শ্বাশুরীর ঘর থেকে কয়েক হাজার নগদ টাকা ও সোনার অলংকার লুট করে নিয়ে যায়। হামলাকারীদের দুই জনের হাতে বন্দুক ছিল। বাঁকীদের হাতে বড়বড় ছোড়া ও লাঠি ছিল।

হামলায় গুলিবিদ্ধ সালিম দাবি করেন, রাতে যখন তারা দেবিনগড় পশ্চিম পাড়ায় ওমর আলীর চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিল এ সময় তার প্রতিপক্ষ সামিরুল ও তার লোকেরা অতর্কিতে গুলি চালায়। পরে সন্ত্রাসীরা ব্রিক ফিল্ডে বসবাসকারীদর বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হামলা করে। তার পক্ষ থেকে সন্ত্রীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি জানান।

স্থানীয় ইউপি সদস্য জহুরুল ইসলাম স্বীকার করেন গভীর রাতে সামিরুলের লোকজন সাধারণ গ্রামবসীদের উপর গুলি চালিয়েছে। তার মাধ্যমে সামিরুলের ফোন নম্বর জোগারের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি সাফ জানিয়েদেন ওরা চরমপন্থী ওরা রাতে আসে রাতে যায়। ওদের ফোন নম্বর ঠিক নাই।

ওসমানপুর ইউনিয়নের চেয়ার‌্যান আনিসুর রহমান জানান, এসব সন্ত্রাসীরা এক গ্রæপে ছিল। নিজেদের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে আবার বিরোধ লেগেছে। এইসব সন্ত্রাসীরা এক হয়ে তার বাড়িতেও হামলা করেছিল বলে তিনি দাবি করেন।

স্থানীয় সূত্র গুলো জানায়, সালিম-ফারুকদের সাথে সামিরুল এর ব্যক্তিগত বিরোধ বেশ কিছু দিনের। এ বিরোধের সূত্র ধরে গত এক বছরের ওসমানপুর হিজলাবট দেবিনগর গ্রামে কমপক্ষে ৫টি হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। আহত ও ভাংচুর লুট তরাজের তালিকাও দীর্ঘ।

থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন, মামলার ড্রাফট চলছে। গুলি চালানোর ঘটনায় জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে।