স্টাফ রিপোর্টার
কুষ্টিয়ার খোকসায় গ্রামে পুর্ব শত্রুতার জেরধরে আবার তিন কৃষকের ঘাস (গরুর খাবার) চাষের জমিতে ঘাসমারা বিষ (আগাছা নাশক) ছিটিয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্বরা। গতএক মাসে পেঁয়াজ চাষের জমি, তেল জাতীয় ফসলের জমিতে এই আগাছা নাশক ছিটিয়ে দিয়ে ফসলের ব্যাপক তছরুপ করেছে দুর্বৃত্বরা।
সম্প্রতি একরাতের আধারে উপজেলার বি-মির্জাপুর গ্রামে গরু খামারি সাজ্জাদ হোসেনের প্রায় ১২ কাঠা ঘাসের জমিতে ঘাসমারা বিষ (আগাছা নাশক) ছিটিয়ে দেয় দুর্বৃত্বরা। সেই রাতে একই পরিবারের ইমরান বিশ্বাস ও সাইফুল বিশ্বাসের ঘাসের জমিতে বিষ ছিটিয়ে রেখে যায় একই দুর্বৃত্বরা। পরদিন সকাল হতে না হতেই পঁচে নষ্ট হয়ে যায় তিন চাষীর প্রায় ৬০ শতাংশ জমির ঘাস।
ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে জাগোলবা গ্রামের দুই সহদর চাষীর কয়েক বিঘা জমির উঠতি পেঁয়াজের ক্ষেতে একই ভাবে রাতের আধারে ঘাস মারার বিষ (আগাছা নাশক) ছিটিয়ে রেখে যায় অজ্ঞাত দুর্বৃত্বরা। এ ঘটনায় কৃষকের প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। গতমাসের প্রথম দিকে আমাড়িয়া চরে প্রায় ৩ বিঘা জমির উঠতি শরিষা ক্ষেতে ঘাসমারা ওষুধ ছিটিয়ে ফসল তছরুপ করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
আগাছা নাশক প্রয়োগ করে ফসল তছরুপের একাধিক ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষকরা কৃষি বিভাগ ও পুলিশের কাছে লিখিত অভিযাগ দিয়েছেন। দুই একটি ঘটনা তদন্ত হয়েছে। সম্প্রতি এ উপজেলায় প্রতিপক্ষ ঘায়েল করতে ফসলি জমিতে ঘাসমারার ওষুধ (আগাছা নাশক) ছিটিয়ে দিয়ে ফসল তছরুপের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। হুমকীর মুখে পরছেন এলাকার সাধারন কৃষকরা।
বি-মির্জাপুরের কৃষক সাজ্জাদ জানান, গ্রামের একটি হামলার ঘটনায় স্বাক্ষী হওয়াই তার কাল হয়েছে। প্রতিপক্ষ ঘোষনা দিয়ে তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। গরুর খাবারের জমিতে ঘাসমারা বিষ ছিটিয়ে প্রতিপক্ষ তার বড় ক্ষতি করার চেষ্টা করেছে। তিনি এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়েছেন বলেও জানান।
উপজেলা কষি কর্মকর্তা সবুজ কুমার সাহা বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ্য অনেক কৃষকের জমিতে পরিদর্শন করেছেন। তারা এই আগাছা নাশক বিক্রির ক্ষেত্রে সচেতনাতা সৃষ্টির চেষ্টা করে যাচ্ছেন।