খোকসায় ফুটবল মাঠ দখল কেন্দ্র করে হামলা পাল্টা হামলা

0
286
Khoksa-Droho-3-p2

স্টাফ রিপোর্টার

কুষ্টিয়ার খোকসার গ্রামে খেলার মাঠ দখল পাল্টা দখল কেন্দ্র করে দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে হামলা পাল্টা বাড়ি ভাংচুর লুটের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুই পক্ষের মহিলাসহ কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশের উপস্থিতিতে দুই পক্ষ গ্রামবাসীর মধ্যে দফায় দফায় হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রনে নেয় পুলিশ। তিনটি বাড়ি ভাংচুর ও লুটের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় আহত নারী পুরুদের মধ্যে নিজাম (৭০), লাল্টু (৪৫), রাজু (২৫), রাজিয়া খাতুন (৪০), চম্পা খাতুন (৪৫), আশিক (১৮) ও মুন্নু (৫৫) কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভতির্ করা হয়েছে। বাঁকীদের গ্রাম্য ডাক্তার দিয়ে স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। আবারও সংঘর্ষ হতে পারে বলে গ্রামবাসী শঙ্কা করছেন।

Khoksa-Droho-3-p3

সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, উপজেলার ওসমানপুর ইউনিয়নের কোমর ভোগ গ্রামের বিবাদ পুর্ন নন্দীর মাঠ খ্যাত কোমর ভোগ ফুটবল মাঠের দখল দারিত্ব নিয়ে বিরোধ সংঘর্ষে পরিনত হয়। তিনদিন আগে মঙ্গলবার বিকালে স্থানীয় ইউপি সদস্য জাবেদ মেম্বর, লিটন মাষ্টার তোফা’র নেতৃত্বাধিন ক্রিকেট দলের খেলোয়ারদের সাথে এলাকার অপর প্রভাবশালী আনিস ও নয়ন এর নেতৃত্বাধীন ফুটবল দলের খেলোয়ারদের বিরোধ বাধে। এ ঘটনার নিস্পতির জন্য এলাকার নেতারা কয়েক দফায় বৈঠক করে। উত্তেজনা থামাতে সকালেই পুলিশ ডাকা হয়। কিন্তু সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দুই পক্ষ রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে।

বৃহস্পতিবার সকালে তখন গ্রামের এক মৃত ব্যক্তির দাফন নিয়ে ব্যস্ত এক পক্ষ। ঠিক সে সময়ে প্রতিপক্ষের কয়েকশ সমর্থক ঢাল সর্কি নিয়ে বিরোধী পক্ষের সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালায়। ভাংচুর করা হয় রিকসা চালক মোস্তাকের বাড়িসহ তার ভাই ভাতিজাদের বাড়ি। হামলাকারীরা এই বাড়ি থেকে নগদ টাকা ও মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন বিকসা শ্রমিকের স্ত্রী বন্যা।

এ সময় প্রতিপক্ষ সমর্থকরা আবার পাল্টা হামলা চালায়। হামলাকারীরা রুস্তম আলীর চায়ের দোকান ও বাড়ি ভাংচুর করে বলে অভিযোগ করেন রুস্তম আলী নিজে।

এক পক্ষের নেতা আনিস জানান, সকালে তারা যখন মৃত ব্যক্তির দাফন নিয়ে ব্যস্থ ছিল তখন প্রতিপক্ষ তার লোকদের বাড়ি ঘরে হামলা করে। হামলাকারীরা এক রিকসা শ্রমিকের বাড়ি থেকে টাকা লুট করে নিয়ে গেছে বলেও তিনি দাবি করেন।

অপর পক্ষের রুস্তুম আলী লুটের ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেন। এ হামলার জন্য প্রতিপক্ষকে দায়ী করলেন তিনি।

জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মনিরুল ইসলাম জানান, আহতদের অবস্থা মোটামুটি ভালো আছে।

থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, মামলা হয়নি, আটকও হয়নি। তবে এলাকায় পুলিশ মোতায়ের রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আছে।