খোকসায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুই কলেজ ছাত্র নিহত

0
81
দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার আগের মুহুত্যে চার বন্ধুর একসাথে তোলা শেষ সেলফি তুলেছিল। ছবির ডান পাশে মেরুন রঙের সার্ট পরা নিহত মুছা ও পারভেজ।

স্টাফ রিপোর্টার

কুষ্টিয়ার খোকসায় কলেজ শেষে ঘুড়তে বেড়িয়ে যাত্রীবাহী বাসের সাথে মুখ-মুখি সংঘর্ষে মোটর সাইকেল আরোহী দুই ছাত্র নিহত হয়েছেন।

বৃৃহ¯প্রতিবার দুপুর দেড়টার দিকে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী সড়কের খোকসার পাইকপাড়া মির্জাপুর গ্রামে কাছে এই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। পদ্মা গড়াই পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস (ঢাকা মেট্রো- ব ১৪-৫১৪৮) এর সাথে মোটর সাইকেলের মুখ-মুখি সংঘর্ষে কলেজ ছাত্র আবু মুছা (১৮) ও পারভেজ হোসেন (১৮) ঘটনা স্থলেই নিহত হন। তার উপজেলার শোমসপুর আবু তালেব ডিগ্রী কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। দুর্ঘটনার পর গাড়ি ফেলে বাসের চালকসহ অন্য স্টাফরা পালিয়ে যায়।

নিহতরা কুমারখালী উপজেলার চর জগন্নাথপুর গ্রামে ইসাহক আলীর ছেলে আবু মুছা ও একই উপজেলার যদুবয়রা গ্রামের আবু বক্করের ছেলে পারভেজ হোসেন।

নিহতদের মৃতদেহ দেহ ঘিরে উৎসুক জনতা।

প্রত্যক্ষদর্শী মুদি দোকানি আক্তার হোসেন জানান, তিনি ঘটনা স্থল থেকে ২০ মিটার দুরে গাছের নিচে বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। একটি মোটর সাইকেল কুষ্টিয়ার দিকে যাচ্ছিল। এ সময় বিপরিত দিক থেকে আসা বেপরোয়া গতির যাত্রীবাহী বাসটির সাথে মোটর সাইকেলটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তারা ছুটে গিয়ে সড়কের পাশের খাদ থেকে উদ্ধার করার আগেই মোটর সাইকেল আরহীরা মারা যায়।

নিহতদের সহপাঠি ও এই সফরের থাকা অপর মোটর সাইকেলে থাকা হাসান আলী জানান, কলেজের কাস শেষ করে তারা চার বন্ধু পৃথক দুটি মোটর সাইকেল নিয়ে শিমুলিয়া ঘুরে বাড়ির উদ্যেশ্যে যাত্রা করে। সে সামনের মোটর সাইকেলে ছিল। অনেক পেছনে ছিল মুছা ও পারভেজ। তাদের বিলম্ব দেখে ফিরে এসে দুই বন্ধুকে মৃত পেয়েছে।

দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার আগের মুহুত্যে চার বন্ধুর একসাথে তোলা শেষ সেলফি তুলেছিল। মোবাইল থেকে সংগ্রহ।

শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ব্যস্ততম আঞ্চলিক মহাসড়কটি পাইকপাড়া মধ্যে এসে ইউ টার্ন নেওয়ায় এখানে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। দুর্ঘটনা ও প্রাণহানী রোধে উদ্যোগ নেওয়ার জোর দাবি করেন।

ঘটনা স্থলে উপস্থিত খোকসা থানা পুলিশের এসআই মোজাম্মেল হক বলেন, নিহত ছাত্রদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। হাইওয়ে পুলিশ এসে মৃতদেহ সুরত হাল রিপোর্ট তৈরী ও মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন। তারা শুধু নিরাপত্তার সার্থে কাজ করছেন।