খোকসায় হাত পা মুখ বাঁধা সজ্ঞাহীন গৃহবধূকে উদ্ধার

0
182
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গৃহবধূ রজিনা পাশে স্বজনরা।

স্টাফ রিপোর্টার

কুষ্টিয়ার খোকসায় হাত পা মুখ বাঁধা অবস্থায় সজ্ঞাহীন গৃহবধূ রজিনা খাতুন (৩২) কে রাস্তার পাশ থেকে উদ্ধার করেছে গ্রামবাসী।

শুক্রবার ভোরে উপজেলা সদর থেকে দুই কিলোমিটার দূরের গ্রাম কাদিরপুরের মুসল্লিরা ফজরের নামাজে যাওয়ার সময় সজ্ঞাহীন অবস্থায় গুংড়াতে (এক জাতীয় শব্দ) দেখে ওই গৃহবধূকে রাস্তার পাশ থকে উদ্ধার করে। সজ্ঞাহীন অবস্থায় তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে স্থানান্তর করে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। রজিনা এই গ্রামের আব্দুর রউফ শিকদারের স্ত্রী। গৃহবধূর আশিক ও আমীর হামজা নামের দুইটি পুত্র সন্তার রয়েছে। তার স্বামী পেশায় একজন হওয়ায় মিঠাই তৈরীর শ্রমিক। ঘটনার রাতে সে ব্যবসায়ীক প্রয়োজনে মাগুড়া জেলায় অবস্থান করছিলেন।

শুক্রবার দুপুরের কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন গৃহবধূ জানান, রাতে সে তার মায়ের সাথে ফোনে কথা বলে ঘরে ঘুমতে যান। গভীর রাতে মুখ ঢাকা ৫ জন লোক তার হাত মুখ পা বেঁধে জোর করে ঘর থেকে তুলে নিয়ে যায়। হামলাকারীরা তাকে প্রথমে মাঠে নেবার চেষ্টা করে। পরে তাকে রাস্তায় নিয়ে গেলে এক পাগলের চিৎকারে তাকে ফেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। হামলাকারীরা গৃহবধূর পেট ও গলায় পাড়া দিয়ে ধরেছিল বলে অভিযোগ করেন। আহত গৃহবধূ হামলাকারীদের চেনে নি বলে জানান।

আরো পড়ুন – একসপ্তাহের বন্যায় দেশে ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে

উদ্ধারকারী প্রতিবেশী জিল্লুর রহমান জানান, তার ছেলে বন্ধুর সাথে ফজরের নামাজ পড়তে মসজিদে যাচ্ছিল। এ সময় হাত মুখ পা বাঁধা নারীকে দেখে তাকে খবর দেয়। তিনি গ্রামবাসীদের সাথে নিয়ে গৃহবধূকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। পারিবারিক বিরোধের জের ধরে গৃহবধূর ওপর এমন নির্মম হামলা হতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

আহত গৃহবধূর শ্বশুর খোরশেদ শিকদার বলেন, তার পুত্রবধূ অনেক রাত পর্যন্ত মোবাইল ফোনে কথা বলেছে। তার পরে ভোর বেলায় তিনি খবর শোনের পুত্রবধূ রাস্তায় পরে আছে।

গৃহবধূর স্বামী আব্দুর রউফ শিকদার জানান, তিনি ব্যবসায়ীক কাজে বাইরে ছিলেন। খবর পেয়ে চলে এসেছেন। স্ত্রী সুস্থ্য হলে তিনি আইনগত ব্যবস্থা নেবেন। তবে গ্রামে কোন শত্রæ নেই বলেও তিনি দাবি করেন। এই ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তির দাবি করেন তিনি।

খোকসা থানার ওসি তদন্ত মামুনুর রশিদ জানান, তিনি ঘটনাটি শোনার সাথে সাথে হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। কিন্তু রোগীনিকে রেফার্ড করায় তার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন নি। গৃহবধূর শ্বশুর বাড়িতে লোক পাঠানো হয়েছিল, সেখানে কোন আলামত মেলেনি। বিকাল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোন অভিযোগ তিনি পান নি।