গ্রীষ্মের ফুলকপির গ্রাম খেমিরদিয়ার

0
109

ভেড়ামারা প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার একটি গ্রামের চাষীদের কাছে গ্রীষ্মকালীন ফুলকপি আবাদ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। শীত-গ্রীষ্ম সব ঋতুতেই এখানে আবাদ হয় ফুলকপি।

উপজেলার মোকারিমপুর ইউনিয়নের খেমিরদিয়ার গ্রাম। এ গ্রামের প্রায় শতাধিক কৃষক বছর জুড়ে শুধু ফুলকপির আবাদ শুরু করেছেন। এ বছর গ্রামটির ৪৫ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন ফুলকপি আবাদ হয়েছে। অসময়ের ফুলকপিতে লাভ বেশি হওয়ায় চাষীরা দিন দিন এ চাষের দিকে ঝুঁকছে।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় এবার গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষ হয়েছে ৯২৫ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে শুধু ফুলকপি আবাদ হয়েছে ৪৫ হেক্টর জমিতে। এ বছর এলাকায় ডন, মার্কেট লিডার, তুফান জাতের ফুল কপি বেশি আবাদ হয়েছে।

উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নেই কম বেশি গ্রীষ্মকালীন ফুলকপি আবাদ হচ্ছে। তবে মোকারিমপুর ইউনিয়নের ধোপাগাড়ি, মুন্সির মাঠ, ফকিরাবাদ, রাজকৃষ্ণপুর, ১৬ দাগ এলাকায় সর্বাধিক আবাদ হয়েছে। ফুলকপির গ্রামখ্যাত খেমিরদিয়ার মাঠে সব থেকে বেশি ফুলকপির আবাদ হচ্ছে। এখানকার ফুলকপি ঢাকা ও চট্টগ্রামের পাইকারি ব্যবসায়ীরা এসে মাঠ চুক্তিতে কিনে নিয়ে যান।

কৃষক খলিলুর রহমান বলেন, সারা বছরই ফুলকপির চাষ করেন। এবার তিন বিঘা জমিতে গ্রীষ্মকালীন ফুলকপি চাষ করেছেন। তিনি বছরে তিনবার ফুলকপি চাষ করেন। গ্রীষ্মকালীন কপি উঠে গেলে, এ মাঠে শীতকালীন ফুলকপি চাষ করবেন।

খলিলুর রহমান আরো জানান, প্রতি বিঘা ফুলকপি আবাদে ২৫ থেকে ২৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আর বিঘাপ্রতি ফুলকপি ৪৫ হাজার টাকা থেকে ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কোনো কোনো সময় এক বিঘার ফুলকপি লাখ টাকায়ও বেচা-কেনা হয়।

আরো পড়ুন – কুমারখালীতে শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা সনদ বিতরণ

এ গ্রামের সাহাবুল, আশরাফ, খলিলুর রহমান ও সুমন আলী জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে ফুলকপি চাষ করে আসছেন। গ্রীষ্মকালীন ফুলকপি চাষে তেমন ঝুঁকি নাই, বরং বেশি লাভ হয়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়খুল ইসলাম বলেন, গ্রীষ্মকালীন ফুলকপি চাষ করে এখন চাষিরা লাভবান হচ্ছেন।